মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ভোর থেকে কুয়াশাঘেরা ছিল চারদিক। সকালে কিছুটা সময় সূর্যের দেখা মিললেও দিনভর আকাশ ছিল মেঘাচ্ছন্ন। এর সঙ্গে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে ঠাণ্ডা বাতাস। হিমালয় ছুঁয়ে আসা ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে আজ যেন শীতের তীব্রতা অসহনীয় পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। এতে নগরবাসীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
বিশেষ করে রিকশাচালক, দিনমজুর, ক্ষুদ্র ও ভাসমান ব্যবসায়ী, শ্রমজীবী মানুষসহ পশু-পাখিরাও পড়েছে বিপাকে। শীতের তীব্রতার কারণে সন্ধ্যা হলেই প্রধান প্রধান সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কমে আসছে। রিকশা চলাচলও কম।
শহরের নিম্ন আয়ের মানুষ ও গ্রামীণ জনপদে থাকা সাধারণ মানুষ শীত নিবারণের জন্য সকাল-সন্ধ্যা খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাচ্ছে। টানা শৈত্যপ্রবাহের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়ছেন দিনমজুর শ্রেণির মানুষ। দিনের পর দিন কাজ না থাকায় আয় কমে গেছে। তাই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তারা নিদারুণ কষ্টে জীবনযাপন করছেন।
জানতে চাইলে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, প্রায় একমাস থেকেই রাজশাহীর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে চলছে। এর মধ্যে গত ৪ জানুয়ারি থেকে তাপমাত্রা বেড়ে ১৫ ডিগ্রিতে উঠেছিল। তবে দু’দিন পর ৬ জানুয়ারি আবারও তাপমাত্রা কমে ৮ এর ঘরে এসে দাঁড়ায়। আজ তাপমাত্রা সামান্য বাড়লেও ঠাণ্ডা বাতাসের কারণে শীতের দাপট কমেনি।
সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৮ ডেগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া আজও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখন দিনের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার ব্যবধান কমে আসায় বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের এই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা।
আবহাওয়া পূর্বাভাস উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আগামী কয়েকদিনে রাজশাহীর তাপমাত্রা আরও নিচে নেমে আসতে পারে। এছাড়া ৮ থেকে ১০ জানুয়ারির মধ্যে রাজশাহীতে হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণ হতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এসএস/এএ