এ ঘটনায় বুধবার (৮ জানুয়ারি) ওই কলেজছাত্রী নিজে বাদী হয়ে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত-২ এ পাঁচজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা এফআইআরভুক্ত করে তদন্তের জন্য চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক জিয়া উদ্দিন মাহমুদ।
মামলার পাঁচ আসামিরা হলেন- কলেজছাত্রীর প্রেমিক হবিগঞ্জ সদর উপজেলার মকসুদ আলীর ছেলে শামীম আহমেদ মামুন (২২), একই উপজেলার হাতির থান গ্রামের মৃত রমিজ আলীর ছেলে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আক্কাছ আলী (২০), বানিয়াচং উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হান্নানের ছেলে ফজলুর রহমান (২৪), নবীগঞ্জ উপজেলার কায়স্থ গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে আলী হোসেন (২৪) ও চুনারুঘাট উপজেলার বনগাঁও গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে জুনেদ লতিফ (২৭)।
মামলার অভিযোগে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার ওই কলেজছাত্রীর সঙ্গে মামলার প্রধান আসামি মামুনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে ওই কলেজছাত্রীর মোবাইল নম্বরে কল করে মামুন তাকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলেন। পরে কলেজ থেকে তিনি বের হয়ে মামুনের সঙ্গে আক্কাছ আলীর অটোরিকশায় করে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে যান।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, সেখানে মামুন প্রথমে তাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে ফজলুর, আলী ও জুনেদসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও দু’জন তাকে গণর্ধষণ করেন। এ সময় অটোরিকশাচালক আক্কাছ জঙ্গলের বাইরে থেকে তাদের পাহারা দিচ্ছিলেন।
গণধর্ষণের পর অসুস্থ অবস্থায় ওই কলেজছাত্রীকে ফেলে রেখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন অভিযুক্তরা। পরবর্তীতে তিনি অরণ্য থেকে বেড়িয়ে এসে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ওই কলেজছাত্রীকে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাজমুল হক বাংলানিউজকে জানান, আদালতের কোনো আদেশ থানায় আসেনি। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে পুলিশ তদন্ত করবে।
বাংলাদেশ সময়: ০০২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২০
আরআইএস/