সম্প্রতি বিমানবন্দর সড়কের শেওড়া এলাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর সেই আসামিকে ধরতে পুলিশের তৎপরতা দেখে তিনি ওই আক্ষেপ করেন।
ট্রেনে কাটা পড়ে দুই হাত হারানো ওই নারীকে সজীব (২৫) নামে এক বখাটের বিরুদ্ধে গত বছরের ২২ মে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে ঢাকার খিলগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন।
বাদিনীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার একটি গ্রামে। তিনি রাজধানীর খিলগাঁও এলাকার একটি বাড়িতে থাকতেন। বৃহস্পতিবার ঢাকার নিম্ন আদালতপাড়ায় দাঁড়িয়ে এই প্রতিবেদকের কাছে তিনি এমন অভিযোগ করেন, বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও পুলিশ আসামিকে গ্রেফতার করেনি। গ্রেফতারের কোনো চেষ্টাও করেনি। তার ধারণা গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেই পুলিশ তার মামলার আসামি সজীবকে ধরবেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে আসামির সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সম্পর্কের জেরে গত বছর ২০ মে তাকে নিজ বাসায় নিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হলে ওই বখাটে জোরপূর্বক ওষুধ খাইয়ে সন্তান নষ্ট করেন।
২০ বছর বয়সী বাদেনী অভিযোগ, বিয়ের জন্য তাকে চাপ দিলে তিনি মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ধর্ষণ ও গর্ভের সন্তান নষ্টের বিষয়টি অভিযোগপত্রেও এসেছে। মামলার সজীব ছাড়া অন্য কাউকে আসামি করা হয়নি।
বাদিনীর আইনজীবী কাওসার আহমেদ বৃহস্পতিবার বাদিনীকে সঙ্গে নিয়ে জানান, আমি ভুক্তভোগীকে সঙ্গে নিয়ে গত বছর বিষয়টি মীমাংসার জন্য আসামির গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার সদর থানার নাতিরপুরের বস্তিতে যাই। তখন আসামি সজীব সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে এবং আমাদেরকে হুমকি দিতে থাকেন। পরে আমরা সেখান থেকে আমরা কৌশলে চলে আসি।
মামলাটি তদন্তের পর খিলগাঁও থানার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক রুশদ হাসান গত ২৬ নভেম্বর অভিযোগত্র দাখিল করেন। মামলাটি অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি তিন নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দিন ধার্য রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২০
কেআই/এএটি