বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মৃত্যুর বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করে মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে ড. মাহমুদ হোসেন বলেন, শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় হেলিকপ্টারযোগে তার মরদেহ নিয়ে বাগেরহাটের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন স্বজনরা। জুমার নামাজ শেষে বাগেরহাটের শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। বেলা সাড়ে তিনটায় মোরেলগঞ্জ এসএম কলেজ মাঠে এবং বিকেল সাড়ে ৪টায় তার নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে তাকে সমাহিত করা হবে।
মোজাম্মেল হোসেরনের মৃত্যুতে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ ১৯৪০ সালের ১ আগস্ট মোরেলগঞ্জের কচুবুনিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের স্কুলেই তিনি প্রাথমিক লেখাপড়া করেন। এরপর সরকারি পিসি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) থেকে এমবিবিএস পাস করেন।
পরে বঙ্গবন্ধুর হাত ধরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে যোগ দেন। পরবর্তীকালে তিনি বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। আমৃত্যু তিনি এই পদে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। এই পদে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি একাধিকবার হামলার শিকারও হয়েছেন।
১৯৯১ সালে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, মোল্লাহাট ও ফকিরহাট) আসন থেকে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন। পরবর্তীতে বাগেরহাট-৪ (মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা) আসন থেকে ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ডা. মোজাম্মেল হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৮০৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২০
এএটি/এসএ