বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দিনগত রাতে নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পারভেজ আলম চৌধুরী বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৭ জানুয়ারি সিলেটের গোইনঘাট থানার গুচ্ছগ্রাম থেকে ফারুককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জবানবন্দির বরাত দিয়ে এএসপি পারভেজ আরও জানান, হরিপুর গ্রামের মাখন ও বজলু মিয়ার লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এর জেরে গত বছরের ৬ নভেম্বর দু’পক্ষের সংঘর্ষে বজলুর ছেলে ফজল মিয়া নিহত হন। এ ঘটনায় মাখনসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হলে কয়েকজন গ্রেফতারও হন। পরে প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর উদ্দেশে মাখন তার বাড়িতে থাকা শ্যালক কামালকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। এনিয়ে মজিদ মিয়ার বাড়িতে গোপন বৈঠকে কামালকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরে ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিনগত রাতে নবীগঞ্জের লহরজপুরের হাওরে কামালকে মাছ ধরতে পাঠান ভগ্নিপতি মাখন। সেখানে নদীর পাশে ধানক্ষেতে ফিকল দিয়ে কামালের বুকে আঘাত করে হত্যা করেন মাখনের লোকজন। এরপর চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে প্রচার করা হয় বজলুর লোকজন কামালকে হত্যা করে পালিয়েছেন।
এ ঘটনার তিনদিন পর নিহত কামালের বোন ও মাখনের স্ত্রী বজলুর পক্ষের ২৭ জনকে আসামি করে নবীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কিন্তু ঘটনার পরপরই নিহতের ভগ্নিপতি মাখন, ফারুক, শরীফ, লেবুসহ তার স্বজনরা গাঁ ঢাকা দেন। এতে পুলিশের সন্দেহ হয় বাদীপক্ষের দিকেই।
নবীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসে মাখন পক্ষের ইসলাম উদ্দিন নামে একজনকে আটকের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। এরপর গত ৭ জানুয়ারি ফারুকে আটক করা হয়। পরে তিনি হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দিয়ে নিজেরাই হত্যা করেছেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
হত্যার পরিকল্পনাকারী মাখনসহ বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান পরিদর্শক আমিনুল।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
আরআইএস/