শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) গুণীজনদের হাতে এই সংবর্ধনা তুলে দেওয়া হয়।
সংবর্ধনা পাওয়া বরেণ্য ব্যক্তিরা হলেন- আহমদ রফিক (ভাষাসংগ্রাম), তোয়াব খান (সাংবাদিকতা), জহিরুল হক (খেলা, ফুটবল), অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (শিক্ষা), হাসান আজিজুল হক (কথাসাহিত্য), মুহাম্মদ কামরুজ্জামান (ক্রীড়া সাংবাদিকতা), মোফাজ্জল করিম (জনপ্রশাসন), বশির আহমেদ (খেলা, হকি), সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী (ব্যবসা), মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম (মুক্তিযুদ্ধ), আলী যাকের (অভিনয়, নাটক), নির্মলেন্দু গুণ (সাহিত্য, কবিতা), ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ (আইন)।
আরও রয়েছেন- আ ক ম মোজাম্মেল হক (মুক্তিযুদ্ধ), সৈয়দ আবুল হোসেন (ব্যবসা ও শিক্ষা), ফরিদা আক্তার ববিতা (অভিনয়, চলচ্চিত্র), চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. মো. সালেহ আহমেদ (চিকিৎসা), অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ (চিকিৎসা), সাবিনা ইয়াসমিন (সংগীত), কাজী সালাউদ্দিন (খেলা, ফুটবল), আবদুল কাদির মোল্লা (ব্যবসা ও শিক্ষা), আব্দুস সাত্তার নিনি (খেলা, শ্যুটিং), আতিকুর রহমান (খেলা, শ্যুটিং), নিয়াজ মোরশেদ (খেলা, দাবা) ও আকরাম খান (খেলা, ক্রিকেট)।
সম্মাননা প্রদানের সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান, সাফায়েত সোবহান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক এবং নিউজ টোয়েন্টিফোর ও রেডিও ক্যাপিটালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নঈম নিজাম, বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর.কমের সম্পাদক জুয়েল মাজহার, দৈনিক কালের কণ্ঠের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা কামাল এবং স্যাটেলাইট টেলিভিশন নিউজ টোয়েন্টিফোরের হেড অব নিউজ রাহুল রাহা। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন কালের কণ্ঠ সম্পাদক ও বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন।
সম্মাননা প্রদান শেষে নিজ বক্তব্যে ড. শিরীন শারমিন বলেন, আজ ১০ জানুয়ারি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। বাংলা ভাষার পত্রিকাগুলোর মধ্যে কালের কণ্ঠের ১০ বছরের যাত্রা অন্যতম অর্জন। এই উপলক্ষে কালের কণ্ঠের সব সদস্য এবং পাঠকদের আমি শুভেচ্ছা জানাই। আমি আশা করবো, তারা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন অব্যাহত রাখবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী যে উন্নয়ন করেছেন, সেই সংবাদ দেশের আনাচে-কানাচে নিয়ে যাবে কালের কণ্ঠ। আমি আশা করি তারা জনগণের কথা বলবে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, কালের কণ্ঠের ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং ১১তম বছরে পদার্পণ অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। আমি উৎফুল্ল হই এই ভেবে যে, মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান দিয়ে একটি মিডিয়া হাউস কাজ করছে। তাদের মতো ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের সব প্রতিষ্ঠান এভাবে মুক্তিযুদ্ধের কথা বলবে, সত্য-ন্যায়ের কথা বলবে, প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের কথা বলবে, আমি এমনটাই আশা করি।
এরপর কালের কণ্ঠ দেশের অন্যতম শীর্ষ পত্রিকা হওয়ার অর্জনে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ দেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। তবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান না থাকলে এসব কিছুই হতো না। আজ যে ২৫ জন গুণী ব্যক্তিকে আমরা সম্মাননা দিচ্ছি, সেটিও সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর কারণে। যে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখেছিলেন, সেটি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তার সুযোগ্য কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, আজ যে গুণী ব্যক্তিদের আমরা সম্মাননা দিতে পেরেছি, সেটি দিতে পেরে আমরা সম্মানিত।
পত্রিকাটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তফা কামাল বলেন, কালের কণ্ঠ এমন একটি দিনে শুরু হয়েছিল, যেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরে এসেছিলেন। আজ আরও একটি বিশেষ দিন, মুজিববর্ষ উদযাপনের ক্ষণ গণনার দিন। আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঘোষণা দিয়ে যাত্রা আরম্ভ করি। দেশে আর কোনো পত্রিকা এভাবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ঘোষণা নিয়ে কাজ করেনি। আমরা সব সময় সত্যের আলোকে সংবাদ পরিবেশন করি।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণ পদ রায়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
সবশেষে কালের কণ্ঠের ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কেক কাটেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২০
এসএইচএস/এসএ