শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) জুম্মাবাদ বাগেরহাট শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে এ জানাজা হয়।
বর্ষিয়ান এ রাজনীতিবিদের জানাজায় কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়।
পরে জানাজার জন্য মরহুমের মরদেহ পুনরায় শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে নেওয়া হয়। সেখানে বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মোজাম্মেল হোসেনের কফিনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
এসময় বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, শ্রম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু, খুলনা বিশ্বিবিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ফায়েকুজ্জামান, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মীর শওকত আলী বাদশা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন, জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান টুকু, মরহুম ডা. মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি অ্যান্ড উড টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেনসহ দলীয় ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসেন, এমপির প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হোসেনের কফিনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মোজাম্মেল হোসেনের কফিনে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মোজাম্মেল হোসেনের কফিনে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন। এরপর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের নিয়ে কফিনে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
পরে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, হুইপ ইকবালুর রহিম কফিনে শ্রদ্ধা জানান।
পরে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। দোয়া ও মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ দলীয় জাতীয় নেতারা অংশ নেন।
দুপুরে বাগেরহাট স্টেডিয়ামে জানাজা শেষে ডা. মোজাম্মেল হোসেনের মরদেহ নিয়ে মোরেলগঞ্জ এসএম কলেজ মাঠের উদ্দেশ্যে রওনা দেন স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীরা। সেখানে জানাজা শেষে তার নিজ জন্মস্থান উপজেলার কচুবুনিয়া গ্রামে শেষবারের মতো জানাজার পরে দাফন করা হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের এ ত্যাগী নেতা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০২০
এসএইচ