শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনেও শুরু হয়েছে ক্ষণগণনা। এখানে বসানো কাউন্টডাউন মেশিনে ক্ষণগণনা শুরুর আনন্দে উল্লাস করতে দেখা গেছে অনেক দর্শনার্থীকে।
ছুটির দিন হওয়ায় বিকেল থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় জমে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে। এসময় কয়েকজনে মুজিববর্ষ এবং এ ক্ষণগণনার উদ্বোধনে তাদের অনুভূতির কথা জানান। একইসঙ্গে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে তারা আহ্বান করে নেয় এ আয়োজন।
ব্যাংক কর্মকর্তা সোহেল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের চেতনার জায়গা। সেই মানুষটির শতবর্ষ আমরা উদযাপন করতে যাচ্ছি সমগ্র বিশ্ব মিলে। তাই এ কাউন্টডাউন মেশিনকে শুধু ‘মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা না বলে আমাদের জাতির স্বপ্নবর্ষের ক্ষণগণনা বলে মনে করি আমি। কেননা শেখ মুজিব যেমন বাংলাদেশ চেয়েছিলেন, আমরা কিন্তু প্রায় তার স্বপ্নের মতোই বাংলাদেশ গড়ে তুলছি সবাই মিলে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাসেল হাসান বলেন, প্রতি বছরই জন্মবর্ষ। তবে সববছর তো এক নয়। সেদিক থেকে এটা শতবর্ষ। বলা চলে আমাদের শতবর্ষের ইতিহাস। সেটির ক্ষণগণনা যখন চলছে, তখন ভেতরে ভেতরে সত্যিই আলাদা একটা আনন্দ অনুভূত হয়।
সমাজকর্মী অমৃতা সাহা তুলি বলেন, বিশ্ব ও মানব ইতিহাসে বাংলাদেশকে অনন্য করে তুলে ধরার জন্য যে মানুষটি আজীবন কাজ করে গেছেন, বাংলাদেশের একান্ত মানচিত্র যার নেতৃত্বে সৃষ্টি হয়েছে, জাতির কাছে সেই মানুষটি কম মূল্যবান নয়। তাই তার জন্মবর্ষ তো আড়ম্বরেই উচ্ছলতা পাই। এখন আমরা সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছি তার স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য। আর বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও দর্শন থেকে শিক্ষা নিয়েই সেদিকে এগিয়ে যেতে হবে।
এর আগে রাজধানীর পুরাতন বিমানবন্দরে আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ক্ষণগণনার উদ্বোধন করেন। পরে তিনি জন্মশতবার্ষিকীর লোগোও উন্মোচন করেন। এ সময় তার পাশে ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহেনা ও নাতি সজীব ওয়াজেদ জয়। চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৯ মার্চ পর্যন্ত ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করেছে সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৯
এইচএমএস/ওএইচ/