শনিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা।
এর আগে শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বালিয়া-কাওয়ালীপাড়া আঞ্চলিক সড়কের পাশে কাঁঠালিয়া এলাকায় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত মমতা ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের শাজাহান খাঁর মেয়ে। তিনি স্থানীয় প্রতীক সিরামিকস নামে একটি কারখানায় কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
আটক ফিরোজ এলাহি সোহেল (৩১) রাজবাড়ীর পাংশা এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। তিনি ওই কারখানার শ্রমিকদের বাসে করে আনা-নেওয়ার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে এক নারীর নিখোঁজ ডায়েরি হয় থানায়। এরপর থেকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। পাশাপাশি এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে বালিয়া-কাওয়ালীপাড়া আঞ্চলিক সড়কের পাশে কাঁঠালিয়া এলাকা থেকে নিহত ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। শনিবার ভোর ৪টার দিকে ওই শ্রমিককে বাসে করে নিয়ে একা রওনা করে চালক সোহেল। কাওয়ালীপাড়া অতিক্রম করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। পরে মমতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার পর রাস্তার পাশে ফেলে রেখে চলে যায় সোহেল।
ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বাংলানিউজকে বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক সোহেল বিষয়টি স্বীকার করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
আরএ