শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাতে মুশফিক আলমের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে দুটি মামলা করেন ভুক্তভোগী দুই তরুণী। পরে রাতেই তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ ব্যাপারে রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আক্তারুজ্জামান মুন্সি বাংলানিউজকে জানান, ওই দুই তরুণী রামপুরার এক বাড়ির পাঁচতলায় একটি মেসে থাকেন। তাদের একজন একটি ডিপার্টমেন্ট স্টোরে ও অন্যজন একটি কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন। তাদের বাড়ির পাশেই একটি বাসায় রান্নাবান্না করে মেসের লোকজনকে খাওয়ানোর কাজ করেন বাবুর্চি মুশফিক আলম। ওই দুই তরুণীও তার কাছেই খাওয়া-দাওয়া করতেন।
‘এরই মাঝে গত বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ১৯ বছর বয়সী তরুণী ওই বাসায় খেতে গেলে একপর্যায়ে জোর করে তাকে ধর্ষণ করেন মুশফিক। একইভাবে চলতি মাসের ১ তারিখে ১৮ বছরের তরুণীটিও ওই বাবুর্চির ধর্ষণের শিকার হন। ১৮ বছর বয়সী তরুণীটি এর আগেও একাধিকবার ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হন। ’
বৃহস্পতিবারের ধর্ষণ ঘটনার পর ওই দুই তরুণী একত্রিত হয়ে রামপুরা থানায় মুশফিকের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেন। মামলায় মুশফিককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতারের পরপরই আসামি ধর্ষণের বিষয়টি শিকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। শনিবার (১১ জানুয়ারি) তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
এদিকে ভুক্তভোগী দুই তরুণীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
এজেডএস/এইচজে