গ্রেফতার দুইজন হলেন- এইচ এম এ বারিক ওরফে বাদল ওরফে বাদল হাওলাদার ওরফে মোস্তাক আহমেদ এবং তার স্ত্রী মরশিদা আফরীন। তারা অসাধু ব্যাংক কর্মকর্তাদের মাধ্যমে এ বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) সিআইডির সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিআইডির ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াডের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন।
তিনি বলেন, ২০০৪ সাল থেকে একটি প্রতারক চক্র ২১ ভুয়া সঞ্চয়পত্র তৈরি করে এর বিপরীতে এবি ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে ৮ কোটি ৬৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছে। এ ঘটনায় ২০০৪ সালে একটি মামলা দায়ের করে এবি ব্যাংক।
তখন থেকেই পলাতক ছিলেন মোস্তাক। তার বিরুদ্ধে ওই মামলায় সাজা হওয়ার পর তিনি দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও ভারতে পালিয়ে ছিলেন। ২০১১ সালে গোপনে দেশে এসে আবার জালিয়াতি শুরু করেন। গ্রেফতার মোস্তাককে ১৬ বছর ধরে খুঁজছে পুলিশ।
তবে ওই মামলায় এবি ব্যাংকের ধানমন্ডি ব্রাঞ্চের তৎকালীন ব্যবস্থাপক আসিরুল হক গ্রেফতার হন। ২০০৬ সালে সে তিনমাস কারাভোগ করেন। পরে তিনি জামিনে মুক্ত হলে হৃদরোগে মারা যান বলে জানা গেছে।
তিনি বলেন, গ্রেফতার দম্পতি জালিয়াতি করে ঢাকায় একাধিক বাড়ি ও অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। তাদের ব্যাংক হিসাবে জালিয়াতির মাধ্যমে উপার্জিত দুই কোটি টাকা সন্ধান পেয়েছি। এছাড়াও তাদের নামে গুলশান-২ এ প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যের একটি নয়তলা বাড়ি, একাধিক ফ্ল্যাট, গাড়ি ও জমির তথ্য পেয়েছি।
সিআইডি কর্মকর্তা ফারুক হোসেন জানান, এ চক্রের সঙ্গে ব্যাংকের আর কোনো কর্মকর্তা জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
ব্যাংক থেকে ভুয়া সঞ্চয়পত্র দিয়ে ঋণ নিয়ে
অর্থ আত্মসাতের এই ঘটনায় দুদক ২০০৪, ২০১১ ও ২০১৬ সালে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরা পশ্চিম ও মোহাম্মদপুর থানায় সাতটি মামলা করে। মামলাগুলো সিআইডি তদন্ত করছে।
সিআইডি জানায়, চক্রটির মূলহোতা একজন শিল্পপতি। তার ঢাকা স্টক একচেঞ্জে ব্যবসা ছিল। ব্যাংক থেকে জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাৎ করে ব্যবসা করে তিনি শিল্পপতি হয়েছেন। তার পরিচয় পাওয়া গেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে ওই শিল্পপতির নাম গোপন রাখা হয়েছে, তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
পিএম/এইচএডি/