শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ধুপখোলায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গ্র্যাজুয়েটদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের সব কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশে বর্তমান সড়ক দুর্ঘটনা মারাত্মক ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই দেশের মানুষ যেন সড়ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ট্রাফিক আইন মেনে চলে, ফুট ওভারব্রিজ ব্যবহার করে। সেজন্য দেশের মানুষদের সচেতন করতে হবে তোমাদেরই। দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি তোমাদের মাঝে লালন করবে। বর্তমান সমাজে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে রুঁখে দিতে হবে। বর্তমান সমাজের স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন পরীক্ষায় নকলের ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি শিক্ষকরাও নকল করতে সহযোগিতা করছে। তোমাদের এ সব অন্যায়, অনৈতিক কর্মকাণ্ডগুলোকে রুঁখে দিতে হবে এবং নকল দূরীকরণে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।
এরপর ১ম সমাবর্তনে স্নাতক ১১ হাজার ৮৭৭ জন, স্নাতকোত্তর ৪ হাজার ৮২৯ জন, এম.ফিল ১১ জন, পিএইচডি ৬ জন, ইভিনিংয়ের ১ হাজার ৫৯৪ জন শিক্ষার্থীকে সনদ প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
পদক দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান এবং সমাবর্তন বক্তা পদার্থবিজ্ঞানে একমাত্র এমিরিটাস অধ্যাপক অরুন কুমার বসাক বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দীন আহমেদ।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের উদ্বোধনের মাধ্যমে সমাবর্তন অনুষ্ঠান শুরু হয়। জবির ১ম সমাবর্তনে ১৮ হাজারেরও বেশি গ্র্যাজুয়েট অংশ নেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২০
কেডি/এসএইচ