ঠাকুরগাঁও বড় মাঠে হকার্স মার্কেট কম দামে গরম কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। তা না হলে নিম্নআয়ের মানুষ আরও ভোগান্তিতে পড়তেন।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী থেকে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি মানুষের বাড়িতে কাজ করি। কয়েকদিন ধরে ঠাকুরগাঁওয়ে প্রচন্ড ঠাণ্ডা হওয়ায় কাজ করা যাচ্ছে না। কিন্তু কাজ না করলে সংসার চালাতে পারবো না।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা রুহিয়া শাখা সোনালী ব্যাংকের অফিসার খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ে আবারও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। ঝিরঝির বৃষ্টির মতো কুয়াশা পড়ছে। তবে এ আবহাওয়ায় শিশু ও বৃদ্ধদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যারা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন তাদের জন্য খুব কষ্টদায়ক কারণ দিনে পাঁচবার তাদের পানি দিয়ে অজু করতে হয়। বর্তমানে পানি ফ্রিজের পানির মতো ঠাণ্ডা।
এদিকে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে শিশু-বৃদ্ধসহ রোগীদের পরিবারকে বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
ঠাকুরগাঁও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার শাহাজান নেওয়াজ বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ এখন আগের চেয়ে অনেক সচেতন। আমরা রোগীদের স্বজনদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছি যেন বাচ্চাদের ঠাণ্ডা না লাগে ও সবসময় গরম পানি ব্যবহার করা হয়। ঘর থেকে বের না হওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছি। যদি ডায়রিয়া-নিউমোনিয়া হয় তাহলে বুকের দুধের পাশাপাশি স্যালাইন খাওয়াতে হবে। বড় ধরনের কোনো সমস্যা হলে জরুরি বিভাগে এনে হাসপাতালে ভর্তি করতে বলছি।
ঠাকুরগাঁও কৃষি অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব উদ্দীন বলেন, আবারও শীতের প্রকোপ বাড়ছে। এখানে সর্বনিম্ন র্তাপামাত্রা ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
এফএম