ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ডিসেম্বরে খুলনায় ২ খুন, ৯ ধর্ষণ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
ডিসেম্বরে খুলনায় ২ খুন, ৯ ধর্ষণ

খুলনা: সদ্য বিদায়ী বছরের শেষ ডিসেম্বরে খুলনা জেলা ও মহানগরে দু’টি খুন ও নয়টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির জানুয়ারি মাসের সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল হোসেনের সভাপতিত্বে সার্কিট হাউস সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় জানানো হয়, খুলনা জেলায় গত ডিসেম্বরে চুরি পাঁচটি, খুন দু’টি, অস্ত্র আইন তিনটি, ধর্ষণ তিনটি, নারী ও শিশু নির্যাতন ১৩টি, নারী ও শিশু পাচার একটি, মাদকদ্রব্য ৬৬টি এবং অন্যান্য আইনে ৫৯টিসহ ১৫২টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেলা অধিক্ষেত্রে ২০১৯ সালের নভেম্বরে এ সংখ্যা ছিল ১৯১টি। খুলনা জেলায় গত মাসের তুলনায় ডিসেম্বরে ৩৯টি মামলা হ্রাস পেয়েছে।  

খুলনা মহানগরে গত ডিসেম্বরে চুরি সাতটি, দ্রুত বিচার একটি, ধর্ষণ ছয়টি, নারী ও শিশু নির্যাতন পাঁচটি, নারী ও শিশু পাচার একটি, মাদকদ্রব্য ৯৮টি এবং অন্যান্য আইনে ২৮টিসহ ১৪৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। খুলনা মহানগর অধিক্ষেত্রে গত নভেম্বরে এ সংখ্যা ছিল ১৫৩টি। খুলনা মহানগরে গত মাসের তুলনায় সাতটি মামলা হ্রাস পেয়েছে।  

সভায় পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়, খুলনা মেডিক্যাল কলেজের সামনে অবৈধ স্থাপনা অপসারণ ও যানজট নিরসনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সচেতন রয়েছে।

খুলনা জেলায় সদ্য যোগদান করা সিভিল সার্জন ডা. মো. সুজাত আহমেদ জানান, ৩৪তম বিসিএস’র মাধ্যমে জেলায় যোগদান করা ৬৪ জন নারী চিকিৎসক ও ৬৩ জন পুরুষ চিকিৎসকের পদায়ন সম্পন্ন হয়েছে। বায়োমেট্রিক হাজিরার মাধ্যমে হাসপাতালসমূহে সঠিক সময়ে চিকিৎসকদের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হচ্ছে।  

আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সংশ্লিষ্ট বাহিনীকে সুনির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে রূপসা ও ভৈরব নদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু হবে। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করায় মাদক সংশ্লিষ্ট মামলার সংখ্যা বেড়েছে। খুলনা বিআরটিএ, পাসর্পোট অফিস ও শেখ আবু নাসের হাসপাতালে দালাল ও ভোগান্তি সৃষ্টিকারীদের দৌরাত্ম নিরসনে চলমান কার্যক্রম আরও গতিশীল করা প্রয়োজন। কিশোর অপরাধ দমনে কাঠোর আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক মোটিভেশন অধিকতর কার্যকর বলে অভিমত প্রকাশ করেন তিনি।  

এসময় ধান কাটার মৌসুমে গ্রামীণ এলাকায় পারিবারিক ও গোষ্ঠীভিত্তিক দ্বন্দ্বের ব্যাপারে সার্বক্ষণিক সচেতন থাকতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিদের্শনা দেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ।  

সভায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইউসুপ আলী, উপ-পুলিশ কমিশনার মো. এহসান শাহ, খুলনা পেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সরকারি কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, গণমাধ্যমকর্মীসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
এমআরএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।