দীর্ঘদিনের প্রেম ও শারীরিক সম্পর্কের পর বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় মরিয়মকে হত্যা করা হয় বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেফতার সুব্রত।
রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, শ্যামনগর উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের কাচড়াহাটি গ্রামের পরিমল মণ্ডলের ছেলে সুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে বাদঘাটা গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে মরিয়মের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তা শারীরিক সম্পর্কে রূপ নেয়। গত দুই মাস ধরে মরিয়ম সুব্রতকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন এবং বিয়ে না করলে তার বাড়িতে গিয়ে উঠবেন বলেও জানিয়ে দেন। এতে সুব্রত মণ্ডল আতঙ্কিত হয়ে মরিয়মকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সুব্রত মরিয়মকে মোবাইলে ফোন করে বল্লবপুর বিলের মধ্যে যেতে বলেন। সেখানে তাদের দেখা ও কথা হয়। এরপর সুব্রত মরিয়মকে বাড়ি ফিরে যেতে বললেও সে বাড়ি ফিরে না গিয়ে তাকে নিয়ে পালিয়ে যেতে বলেন। এতে উত্তেজিত হয়ে সুব্রত মরিয়মকে ধর্ষণ করে এবং গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে বাড়ি চলে যান।
পুলিশ সুপার জানান, ১০ জানুয়ারি সকালে স্থানীয়দের দেওয়া খবরের ভিত্তিতে মরিয়মের মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে এবং ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকারীকে গ্রেফতার ও হত্যার রহস্য উন্মোচনে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
আরএ