রোববার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে তারাবোর গন্ধর্বপুর এলাকায় ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসী ও গন্ধর্বপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও গাড়ির টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করে।
গ্রেফতার হওয়া তিনজন হলেন- উপজেলার গন্ধর্বপুর এলাকার বাদল মিয়ার ছেলে তৌসিফ, কর্নগোপ এলাকার মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে আফজাল ও রূপসী প্রধান বাড়ি এলাকার আবুল কালামের ছেলে আবু সুফিয়ান সোহান।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, কিছুদিন আগে ওই ছাত্রী গন্ধর্বপুর এলাকার বাদল মিয়ার ছেলে তৌসিফকে ৫০০ টাকা ধার দেয়। গত ৯ জানুয়ারি দুপুরে গন্ধর্বপুর স্ট্যান্ডে ধারের টাকা ফেরত আনতে যায় ভুক্তভোগী ছাত্রী। পরে টাকা ফেরত নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তৌসিফ, আফজাল, তারাবো পৌর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান সোহান ও তানভীরসহ অজ্ঞাত ২/৩ তাকে জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়।
পরে রূপসী এলাকার একটি বাড়ি ও কর্নগোপ এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে ওই ছাত্রীকে দুই দিন আটকে রেখে পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা। ধর্ষণের পর ১০ জানুয়ারি দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মৌচাক এলাকায় ভুক্তভোগীকে ফেলে রেখে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ভুক্তভোগীর পরিবারের লোকজন তাকে মৌচাক থেকে উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ৪ জন নামীয় ও ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে বিক্ষোভের সংবাদে উপজেলা নির্বার্হী অফিসার মমতাজ বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীকে বুঝিয়ে শান্ত করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম বলেন, অপরাধীরা যে দলেরই হোক না কেনো, তারা কেউ পার পাবে না। আমি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবো।
রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) রফিকুল হক বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। এরইমধ্যে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
এসএ/