তিনি বলেন, সুবিধাবঞ্চিত নারীরা শুধু গ্রামেই নয়। শহরে অনেক নারী আছে যারা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা বলেন, নারীরা অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল ও স্বাবলম্বী না হলে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা নারী-পুরুষের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিক বৈষম্যের অবসান হবে না।
রোববার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর বেইলি রোডে জাতীয় মহিলা সংস্থার অডিটোরিয়ামে নগর ভিত্তিক প্রান্তিক মহিলা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে সনদ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম অ্যাডভোকেটের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তার, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক কাজল ইসলাম ও অতিরিক্ত সচিব ফরিদা পারভীন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক নুরুন নাহার হেনা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সচিব কাজী রওশন বলেন, নারী-পুরুষের সমতা আনতে হলে নারীদের অর্থনৈতিকভাবে পুরুষের সমকক্ষ হতে হবে। এজন্য নারীদের আয়বর্ধক কাজে নিয়োজিত হয়ে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আনতে হবে।
প্রান্তিক মহিলা উন্নয়ন প্রকল্পের প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে সচিব রওশন বলেন, যে ১০টি ট্রেডে আপনারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তা আপনাদের দক্ষ করে তুলবে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা নারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।
প্রসঙ্গত, নগর ভিত্তিক প্রান্তিক মহিলা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরের ১০টি কেন্দ্রসহ ৬৩টি জেলা ও দু’টি উপজেলার ৪৫ হাজার প্রান্তিক নারীকে ১০টি বিভিন্ন ট্রেডে দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে উৎপাদনমুখী, কর্মক্ষম ও আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তোলা হবে। ২০১৬ সালে শুরু হওয়া চার বছর মেয়াদী এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ৩৩ হাজার শহরের দরিদ্র, দুস্থ ও বিত্তহীন নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। একই প্রকল্পের অধীনে ঢাকায় কর্ণফুলি গার্ডেন সিটিতে ‘সোনার তরী’ নামক কারুশিল্প বিক্রয় ও প্রদর্শনী কেন্দ্র চালু আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
জিসিজি/আরআইএস/