রোববার (১২ জানুয়ারি) বিকেলে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান সন্দেহভাজন সাত আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।
কারাগারে প্রেরণকৃতরা হলেন- উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের চারাগাঁওয়ের সীমান্তগ্রাম বাঁশতলার কালামিয়ার ছেলে নিহত শিশু তোফাজ্জল হোসেনের ফুফা সেজাউল কবির, তার বাবা কালা মিয়া, সেজাউলের স্ত্রী (নিহতের ফুফু) শিউলি আক্তার, একই গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান হবি, তার ছেলে সারোয়ার হাবিব রাসেল, জয়নাল আবেদীনের দুই ছেলে (নিহতের চাচা), লোকমান হোসেন ও সালমান হোসেন।
এর আগে শিশু তোফাজ্জল হোসেনকে অপহরণ করে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ এনে তোফাজ্জেলের বাবা জুবায়ের হোসেন বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে শনিবার (১১ জানুয়ারি) গভীর রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাহিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শিশু তোফাজ্জল অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের মামলায় সন্দেহভাজন সাত আসামিকে আদালতে হাজির করে প্রত্যেককে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ থেকে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে। মামলাটি খুব জঠিল হলেও রিমান্ডে এনে আসামিদের পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে আশাকরি খুব শিগগিরই অপহরণ ও হত্যা রহস্য উন্মোচিত হবে।
জানা যায়, নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর শনিবার ভোরে তাহিরপুর সীমান্তে সিমেন্টের বস্তাবন্দি অবস্থায় তোফাজ্জল হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত তোফাজ্জল উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের জুবায়ের হোসেনের ছেলে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২০
আরএ