একইসঙ্গে ফরহান লঞ্চের মাস্টার ও চালককে গ্রেফতারসহ লঞ্চ আটকের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা সরকার মিঠু বলেন, এ দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
এর আগে রোববার (১২ জানুয়ারি) দিনগত রাত পৌনে একটায় বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ ও চাঁদপুরের সীমান্ত এলাকা মাঝেরচরে এ লঞ্চ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে করে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের এক শিশু ও এক নারী যাত্রী নিহত হয়। আহত হয় আরও ছয়জন। আহতদের চাঁদপুর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার গাড়ুরিয়া ইউনিয়নের ভান্ডারিকাঠি গ্রামের রুবেল খান আব্বাসের স্ত্রী মাহমুদা (২৪) ও তার ছেলে মুমিন খান (৭)।
এদিকে মাহামুদা অন্তঃসত্ত্বা ছিলো বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। মরদেহ রাজধানীর সদরঘাটে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
কীর্তনখোলা লঞ্চ কোম্পানির কাউন্টার ম্যানেজার ঝন্টু জানান, ঢাকা থেকে হুলারহাটগামী ফারহান লঞ্চটি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের মাঝ বরাবর সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চের নিচতলা ও দোতলার অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে দু’যাত্রী নিহত ও কয়েকজন যাত্রী আহত হয়। সংঘর্ষে কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের উপরিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তলা ঠিক রয়েছে।
ফারহান-৯ লঞ্চের কেরানী আল আমিন জানান, কুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় ঢাকা থেকে হুলারহাটগামী এ লঞ্চটির ৫-৬ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।
ফরহান-৮ লঞ্চের মাস্টার মামুনুর রশীদ রওশন বলেন, মাঝের চরের ওই এলাকায় এর আগেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেখানে সরু চ্যানেল ও ডুবোচরের কারণে লঞ্চ চলাচলে সমস্যা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
এমএস/এএটি