সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩ টায় পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বাদল মোবাইলে বাংলানিউজকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ফারফান-৯ লঞ্চের মাস্টার (দ্বিতীয় শ্রেণি মর্যাদার) আফতাব হোসেন ও সুকানি আব্দুল হামিদকে পিরোজপুর সদর এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা সরকার মিঠু বলেন, অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল অধ্যাদেশ ১৯৭৬ এর ৮১ ক ধারা অনুযায়ী ফারহান-৯ লঞ্চটি স্থানীয় থানা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ ছাড়া লঞ্চটির চলাচল বন্ধ থাকবে।
অপরদিকে দুর্ঘটনার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিআইডব্লিটিএ কর্তৃপক্ষ। বিআইডব্লিউটিএ’র বন্দর ও পরিবহন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটিকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে কর্তৃপক্ষ (চেয়ারম্যান) বরাবর প্রতিবেদন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
এরআগে রোববার ১২ (জানুয়ারি) দিনগত রাত পৌঁনে ১টায় বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ ও চাঁদপুরের সীমান্ত মাঝেরচর এলাকায় বরিশাল থেকে ঢাকাগামী এমভি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের সঙ্গে ফারহান-৯ এর সংঘর্ষ হয়। এতে কীর্তনখোলা-১০ এর দুই যাত্রী নিহত হয়। আহত হন আরও ৬ জন। আহতদের চাঁদপুর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার গাড়ুরিয়া ইউনিয়নের ভান্ডারিকাঠি গ্রামের রুবেল খান আব্বাসের স্ত্রী মাহমুদা (২৪) ও তার সাত বছরের ছেলে মুমিন খান। এদিকে মাহামুদা গর্ভবতী ছিলো বলেও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। মরদেহ রাজধানীর সদরঘাটে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
কীর্তনখোলা লঞ্চ কোম্পানির কাউন্টার ম্যানেজার ঝন্টু জানান, ঢাকা থেকে হুলারহাটগামী ফারহান লঞ্চটি কীর্তনখোলা-১০ লঞ্চের মাঝ বরাবর সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চের নীচতলা ও দোতলার অংশ দুমড়েমুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলে দুই যাত্রী নিহত ও কয়েকজন আহত হন। সংঘর্ষে কীর্তনখোলা ১০ লঞ্চের উপরিভাগ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তলা ঠিক রয়েছে।
ফারহান-৯ লঞ্চের কেরানী আল-আমিন জানান, ঘনকুয়াশার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনায় ঢাকা থেকে হুলারহাটগামী লঞ্চটির ৫ থেকে ৬ জন যাত্রী আহত হয়েছেন।
ফরহান-৮ লঞ্চের মাস্টার মামুনুর রশীদ রওশন বলেন, মাঝেরচরের ওই এলাকায় এর আগেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। সেখানে সরু চ্যানেল ও ডুবোচরের কারণে লঞ্চ চলাচলে সমস্যা হয়।
** মেঘনায় দুই লঞ্চের সংঘর্ষ: নিহত ২
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
এমএস/ওএইচ/