সোমবার (১৩ জানুয়ারি) টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ভাতকুড়া গ্রামের সিআইজিভুক্ত কৃষকদের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে কৃষিযন্ত্রপাতি বিতরণ ও রাইস প্লান্টারের মাধ্যমে বোরো ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম উদ্বোধনের কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেছেন, ৭৫ পরবর্তী পিছিয়ে পরা বাংলাদেশকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত ও শান্তির দেশে পরিণত করার চেষ্টায় বাধা ও অশান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টাকে বরদাস্ত করা হবে না।
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের দেশের উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি কৃষি ও কৃষক। তাই কৃষিকে আধুনিকীকরণের কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য যা-যা করণীয় তার সবকিছুই করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার। উচ্চ ফলনশীল ধান ও বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবনেও ইতোমধ্যে নজির সৃষ্টি হয়েছে। কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণের জন্য চাষাবাদ, ফসল কাটা, মাড়াই বিশেষ করে ধান লাগানো এবং কাটার মেশিন কৃষক পর্যায়ে দেওয়া হচ্ছে। যা বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সাল থেকেই শুরু করেছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়া। তারই কন্যা শেখ হাসিনা এখন বাংলাদেশকে শুধু ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্তই নয়, খাদ্যে উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তর করেছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ আয়োজিত এ কৃষক সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান।
টাঙ্গাইল জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা আজহার সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কৃষি সম্প্রসাধণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল মুঈদ, ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো.শাহজাহান কবীর, কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, ধনবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ হিরা, পৌর মেয়র খন্দকার মঞ্জুরুল ইসলাম তপন, কৃষক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২০১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
আরএ