সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে সুনামগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল বেলাল উদ্দিনের আদালতে হাজির হলে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিগত কয়েক মাস আগে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের কর্মচারী জাকারিয়া তার ছোটবোনের বিয়ের কাঠের আসবাবপত্র পৌর শহরের ষোলঘর এলাকার একটি ফার্নিচারের দোকান থেকে ক্রয় করে ট্রাকে তোলার সময় রাস্তায় সামান্য যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় সুনামগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হোসেন আহমদ রাসেল ট্রাকচালককে গালিগালাজ করেন এবং একপর্যায়ে মারধর শুরু করেন।
কাউন্সিলর তখন মাতাল অবস্থায় ছিলেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়। এসময় জাকারিয়া নিজেকে ডিসি অফিসের কর্মচারী হিসেবে পরিচয়পত্র দেখিয়ে মারধর না করতে অনুরোধ করলেও রাসেল তাকে মারধর করেন এবং পরে তাকে পৌরসভায় নিয়ে আবার মারধর করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, এ ঘটনায় প্যানেল মেয়র হোসেন আহমেদ রাসেল হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়েছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর তিনি হাজিরা না দেওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পারোয়ানা জারি করে এবং গ্রেফতারি পারোয়ানা জারির পর সুনামগঞ্জ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে আদালত তাকে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
কোর্ট পরিদর্শক আশিক সুজা মামুন বাংলানিউজকে বলেন, হাইকোর্ট থেকে নেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পারোয়ানা জারি হলে তিনি আদালতে উপস্থিত হন। এসময় আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এছাড়া, সুনামগঞ্জ প্যানেল মেয়র ও ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হোসেন আহমেদের ভিজিএফের চাল আত্মসাতের ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণও পেয়েছে জেলা প্রশাসন। হোসেন আহমেদ রাসেল গেল বছরের ৪ এপ্রিল রোহিঙ্গাদের ভুয়া জন্মনিবন্ধনে সহায়তা করার অপরাধে পুলিশ বাদী হয়ে হোসেন আহমেদ রাসেলসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০২০
আরএ