মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী শিগগিরই জন্মনিবন্ধন সার্ভার ফের চালু করে দেওয়া হচ্ছে। তবে কক্সবাজারে যেহেতু বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার অবস্থান করছে সেজন্য জন্মনিবন্ধন দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা কড়াকড়ি ব্যবস্থা অবশ্যই থাকবে।
জানা যায়, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কক্সবাজারের জেলা প্রশাসকও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, পূর্বের মতো ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অথবা সচিব সরাসরি জন্মনিবন্ধন সনদ দিতে পারবেন না। এক্ষেত্রে আগে যাচাই-বাছাই হবে। যাচাই-বাছাইয়ের জন্য উপজেলা পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি থাকবে। এ কমিটি আবেদনকারীর জন্মস্থান এবং জাতীয়তা যাচাই করে জন্ম নিবন্ধন সনদ দেবে।
প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক নিবন্ধন করার জন্য তখন থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় কক্সবাজারসহ কয়েকটি জেলার অনলাইনে জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম। এর মধ্যে প্রায় ২২ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো চালু করা হয়নি অনলাইনে জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম। ফলে নানা ভোগান্তি পোহাতে হয় স্থানীয়দের।
ভোটার তালিকা হালনাগাদ থেকে শুরু করে চাকরির আবেদন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিসহ যাবতীয় কাজে জন্মনিবন্ধন সনদ দরকার হওয়ায় কক্সবাজারসহ কয়েকটি জেলার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২০
এসবি/আরআইএস/