মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় ফেনী জেনারেল হাসপাতালে দর্শনার্থীদের জন্য পাসকার্ড চালু উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ও জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. আবু তাহের পাটোয়ারী, ফেনী প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা।
জেলা প্রশাসক বলেন, হাসপাতালে পাসকার্ড চালু অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। ফেনী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালে এ উদ্যোগ নেওয়ায় রোগীদের কল্যাণ সাধিত হবে। সুষ্ঠু চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতকরণে রোগী ও তাদের স্বজনরা এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আবু তাহের পাটোয়ারী জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক প্রথম দু’টি জেলা একটি মাগুরা সদর হাসপাতাল, অপরটি ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে রোগীর সঙ্গে একজন স্বজন থাকার দর্শনার্থী প্রবেশে পাসকার্ড চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
অভিজ্ঞ মহলের মতে, পাসকার্ড চালুর মাধ্যমে হাসপাতালের ভেতরে কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি, এমনকি ওষুধ দোকানের দালাল প্রবেশ করতে পারবে না। এতে করে ঝামেলাহীন সেবা দেওয়া যাবে। আগের তুলনায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকবে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, দর্শনার্থী পাস ছাড়া ওয়ার্ডে কেউ অবস্থান করতে পারবেন না। একজন রোগীর সঙ্গে একজন স্বজন ভর্তি হওয়ার সময় একশত টাকা দিয়ে পাসকার্ড সংগ্রহ করবেন। পরে রোগীকে ছাড়পত্র নেওয়ার সময় কার্ডটি জমা দিলে টাকা ফেরত দেওয়া হবে। পাসকার্ড হারিয়ে গেলে বা ফেরত না দিলে জমা দেওয়া টাকা ফেরত পাওয়া যাবে না।
জানা যায়, পাস ছাড়া রোগী দেখার সময় শীতকালীন বিকেল ৩টা থেকে বিকেল ৫টা ও গ্রীষ্মকালীন সময় বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। হাসপাতালে কর্মরত সব স্টাফরা আলাদা বিশেষ পাস ব্যবহার করবেন। এছাড়া হাসপাতালের রোগীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনাবলী সাঁটানো হয়েছে। প্রতিটি সিটের পাশে কেবিন ও সিট ভাড়ার তালিকা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের আঙ্গিনাসহ ওয়ার্ডগুলোতে নাম ও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নতুন ভবনে ও পুরাতন ভবনের গেইটে দায়িত্বরত সিকিউরিটি গার্ড পাসকার্ড চেক করে ভর্তি হওয়া রোগীর সঙ্গে একজন করে স্বজন ভেতরে প্রবেশ করাচ্ছেন। এ কার্ড চালুর ফলে কোনো ওয়ার্ডে আগের মতো কোন ঝামেলা নেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২০
এসএইচডি/ওএইচ/