মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) আবুধাবি বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটের দিকে (বাংলাদেশ সময়- রাত ৮টা ০৫ মিনিট) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভিভিআইপি ফ্লাইট বিজি ১১০২ যোগে সফরসঙ্গীদের নিয়ে ঢাকার পথে যাত্রা করেন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান এসময় তাকে বিদায় জানান।
এর আগে গত রোববার (১২ জানুয়ারি) হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আবুধাবির উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছে বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে সুসজ্জিত মোটর শোভাযাত্রা সহকারে তাকে আবুধাবির শাংরি-লা হোটেলে নেওয়া হয়। সফরকালে তিনি সেখানেই অবস্থান করেন।
পরে সোমবার সকালে আবুধাবি ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারের আইসিসি হলে ‘আবুধাবি সাসটেইনেবিলিটি উইক’ ও ‘জায়েদ সাসটেইনেবিলিটি অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান তাকে স্বাগত জানান।
একই দিন সন্ধ্যায় হোটেল শাংরি-লায় মধ্যপ্রাচ্যের নয়টি দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের সম্মেলনে যোগ দেন শেখ হাসিনা। সম্মেলনে ইসলামিক দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করাসহ মধ্যপ্রাচ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনাও দেন প্রধানমন্ত্রী। একই দিনে দুবাইভিত্তিক বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ডকে বাংলাদেশের বন্দর নির্মাণ, জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
তিন দিনের এ সফরকালে শেখ হাসিনার সঙ্গে এমিরেটস ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির (ইএনওসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফ হুমাইদ আল ফালাসি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শাসক পরিবারের সদস্য শেখ আহমেদ ডালমুখ আল মাখতুমসহ ব্যবসায়ীদের একটি প্রতিনিধি দলও সাক্ষাৎ করেন।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে আবুধাবিতে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সঙ্গে এমিরেটস ন্যাশনাল অয়েল কোম্পানির (ইএনওসি) মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
এদিকে মঙ্গলবার সকালে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তেল কোম্পানি সৌদি আরামকো পরিচালক ও এসিডব্লিউএ পাওয়ারের চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন বিকেল সাড়ে ৫টায় আবুধাবি ন্যাশনাল এক্সিবিশন সেন্টারে ‘দ্য ক্রিটিক্যাল রোল অব উইমেন ইন ডেলিভারিং ক্লাইমেট অ্যাকশন’ বিষয়ে এক সাক্ষাৎকার অধিবেশনেও যোগ দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২০
এমইউএম/এইচজে