এ ঘটনায় আহত হয়েছেন, ওই মেয়ের বাবা শাহজাহান আলী মাস্টার ও তার ছেলে তারিকুল ইসলাম।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজশাহীর বাঘা-লালপুর সীমান্তের সুলতানপুর ও মনিহারপুর গ্রামের ভোলার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাঘা উপজেলার সুলতানপুর ও লালপুরের মনিহারপুর গ্রামের ১৫-২০ জন যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রথমে শাহাজাহান মাস্টারের ওপর হামলা চালায়।
খবর পেয়ে লালপুরের নওপাড়া বাজার থেকে ঘটনাস্থলে যান নাজমুল ও তারিকুল। পরে ওই যুবকরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে জখম করে।
এরপর নাজমুল ও তারিকুলকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক কামরুন নাহার কান্তা মৃত ঘোষণা করেন নাজমুলকে। হাসপাতালের আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানান এই চিকিৎসক।
এদিকে আহত শাহাজাহান মাস্টারকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং তারিকুলকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া নিহতের মরদেহ বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের সামনেই রাখা হয়েছে।
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে প্রথমে থানায় নেওয়া হবে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য পরে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।
তিনি আরো বলেন, আহত যুবক তারিকুল জানিয়েছেন, তার বোনকে বিভিন্ন সময়ে উত্ত্যক্ত করতো লালপুরের মনিপুর গ্রামের আরজেদ আলির ছেলে সুমন। ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যায় মনিহরপুর ও সুলতানপুর গ্রামের সুমন, সম্রাট, সুলতান, আরিফ, নাজমুল, মিঠু ও রামকৃষ্ণপুরের কামরুলসহ ১৮ থেকে ২২ বছর বয়সের ১৫-২০ জনের একটি দল তার বাবা শাহাজাহান মাস্টারের ওপর হামলা চালায়।
হামলার খবর পেয়ে নওপাড়া বাজার থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থলে যান তার মামা নাজমুল ও তারিকুল। সেখানেই নাজমুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। বাধা দিতে গেলে তাকেও জখম করে অস্ত্রধারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
এসএস/ইউবি