কুয়াশার দেয়ালে কয়েক হাত দূরের দৃশ্য দেখা দুরূহ হয়ে পড়েছে। প্রচণ্ড শীতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি ঘন কুয়াশায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে পুরো খুলনাজুড়ে। সকাল ১০টা পর্যন্ত খুলনার কোথাও সূর্যের দেখা মেলেনি।
এদিকে, শীতের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের দুর্ভোগ। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা এবং হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। মধ্যরাত থেকে প্রকৃতি ঢাকা রয়েছে ঘন কুয়াশায়। সড়ক ও নৌ যোগাযোগ চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। তবে থেমে নেই কর্মজীবী মানুষের চলাচল। জীবিকার তাগিদে তারা নির্ধারিত সময়েই বেরিয়ে পড়েছেন রাস্তায়। একটু উত্তাপ পেতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে নিম্নআয়ের লোকজন।
গাড়ির চালকরা বাংলানিউজকে জানান, সড়কে ঘন কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা অনেকাংশে কমে এসেছে। এ কারণে সামনের পথচারী ও বিপরীত দিক থেকে আসা যানবাহন চোখে দেখা যাচ্ছে না। এর ফলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। এ অবস্থায় ফগলাইট ব্যবহার ও গতিসীমা সীমিত রেখে বেশি সতর্কতা অবলম্বন করে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।
রিকশা চালক আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, ঘন কুয়াশা আর শীতে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। তারপরও জীবনের তাগিদে রাস্তায় বের হতে হচ্ছে।
অফিসগামী রাজু হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, উত্তরের হাওয়ার সঙ্গে ঘন কুয়াশা ও আকাশে মেঘ থাকার কারণে প্রচণ্ড শীত লাগছে। সূর্যের দেখা না মেলায় শীতের অনুভব হচ্ছে অনেক বেশি। তারপরও চাকরির কারণে ঘর থেকে বের হতে হয়েছে।
খুলনার নতুন বাজার এলাকার ব্যবসায়ী খালিদ হোসেন রাজন বাংলানিউজকে বলেন, আজকে সকালে খুলনার আকাশ প্রচণ্ড কুয়াশাচ্ছন্ন সামনের কিছু দেখা যাচ্ছে না। সঙ্গে প্রচণ্ড শীত। আমার জীবনে খুলনায় এতো কুয়াশা দেখিনি।
খুলনা জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বাংলানিউজকে বলেন, এ বছর শীত মৌসুমে আজকে সবচেয়ে বেশি ঘন কুয়াশা পড়ছে। ২-১ ঘণ্টাপর সূর্য উঠলে কুয়াশা কেটে যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
এমআরএম/এনটি