মেরামেরির অস্থায়ী এ ঘরটি তৈরি করা হয় পৌষ সংক্রান্তির রাতে। তারপর সেই খড়কুটো দিয়ে তৈরি মেরামেরির ঘরটির মাঝে ছোট-বড়রা মিলেমিশে গান-বাজনা আমোদপ্রমোদ করতে থাকে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে শ্রীমঙ্গল শহর সংলগ্ন বৈদ্যবাড়ি এলাকায় গিয়ে দেখা গেলো, কুয়াশা ঢাকা সকালে শিশু-কিশোররা মেরামেরির ঘরটিতে আগুন জ্বালাতে ব্যস্ত। তাদের মনে-প্রাণ যেন নব আনন্দে শীতকে উপেক্ষা করে জেগে ওঠেছে। তবে রাতের তীব্র কুয়াশার কারণে সেই খড়কুটোর ঘরটি ভিজে একাকার। আগুন তাতে সহজে জ্বলে উঠছে না কিছুতেই। অর্ধশত শিশু-কিশোরসহ এলাকাবাসীর জোর তৎপরতা রয়েছে আগুন ধরানোকে কেন্দ্র করে। কিন্তু সবই যেন ব্যর্থ!কিছুক্ষণের ধোঁয়াটে আবহাওয়ার পর এবার খড়কুটোগুলো আপনা থেকেই উত্তাপ পেতে শুরু করে দিয়েছে। তারপর দাউদাউ আগুনের লেলিহান শিখা। খড়ের তৈরি গম্বুজ আকৃতির মেরামেরির ঘরটিকে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পুড়াতে শুরু করে দিয়েছে সর্বগ্রাসী আগুন।
চন্দ্রনাথ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ঝলক দত্ত জানান, পৌষমাস এলেই কিছুদিন আগ থেকেই আমাদের মেরামেরির ঘর বানানোর প্রস্তুতি চলে। খড়-বাঁশ বেত তৈরি করে রাখা হতো সেই দিনটির জন্য। সংক্রান্তির আগের দিন খড়-বাঁশ ও বেত দিয়ে বানানো (মেরামেরির) ঘর তৈরি করা হতো। রাতে ঘরে আমরা নিজেরা নিজেদের মতো রান্না-বান্না করে খাওয়া-দাওয়া করতাম।
তিনি আরও বলেন, কালের গর্ভে হারিয়ে যেতে বসেছে আমাদের গ্রামীণ বাংলার এই লোক ঐতিহ্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
বিবিবি/এএটি