১ জানুয়ারি থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছে ১০৮ শিশু। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে অবশ্য অনেকেই বাড়ি ফিরে গেছে।
গেল বছরের নভেম্বর ও ডিসেম্বর এই দুই মাসে, শীতজনিত রোগে মৃত্যু হয় ১৮ শিশুর। এসময় খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি হয় ৪১২ শিশু। এরমধ্যে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ১৭৮ জন এবং ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় ২৩৪ শিশু।
এদিকে পাহাড়ে শীতের প্রকোপ অব্যাহত থাকায় প্রতিদিন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বাড়ছে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা। প্রতিদিনি হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে বহিঃবিভাগে গড়ে ২৫-৩০ জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে।
শিশুসহ রোগী বাড়তে থাকায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চলতি শীত মৌসুমে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে ১২শ রোগী চিকিৎসা নিয়েছে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. রাজেন্দ্র ত্রিপুরা জানান, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত বেশিরভাগ শিশুই প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসছে। সেখানে শীতজনিত সমস্যায় আক্রান্ত ছয় শিশুকে হাসপাতালে আনতে দেরি করায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পূর্ণ জীবন চাকমা বলেন, এখন শিশুদের বেশি বেশি যত্ন নিতে হবে। শিশুদের ঠান্ডা যাতে না লাগে সে বিষয়ে মায়েদের সতর্ক থাকতে হবে।
এছাড়া ডায়রিয়া অথবা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত শিশুর ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৩ ঘণ্টা, ১৫ জানুয়ারি, ২০২০
এডি/এবি