এ ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। রাতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন- আড়াই হাজারের আবদুল্লাহপুর এলাকার জহুর আলমের ছেলে মারুফ আল হোসাইন ওরফে মোটা ফারুখ (২১), মনোহরদী একদুয়ারিয়ার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন আদনান (২১), সদর উপজেলার নাগরিয়াকান্দি এলাকার মোর্শেদ আলমের ছেলে মারুফ ওরফে ভাগিনা মারুফ (২০), পৌর শহরের বানিয়াছল এলাকার গাজী আসাদের ছেলে শোয়েব (৩৫)।
গোয়েন্দা পুলিশ জানায়, ইয়াছিনের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ট বন্ধু ছিলেন আসামিরা। ঘটনার নয় মাস আগে মারুফ আল হোসাইন ওরফে মোটা ফারুখ তাদের বন্ধু আলিফকে ৫০০০ টাকা ধার দেয়। পরবর্তীকালে আলিফ টাকা পরিশোধ করতে না পেরে তার ডিএসএলআর ক্যামেরাটি ভাগিনা মারুফের কাছে বন্ধক দেয়। এই ক্যামেরা নিয়ে তাদের মধ্যে গত সোমবার ঝগড়া হয়। এসময় ইয়াসিন ও আলিফের বন্ধুরা ভাগিনা মারুফ ও দেলোয়ারকে মারধোর করেন। এরই জেরে বুধবার দিবাগত রাতে দেলোয়ার ও ভাগিনা মারুফের পরামর্শে মোটা ফারুখ ইয়াসিনকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই ইয়াসিন মৃত্যু হয়।
গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রূপম কুমার সরকার বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আসামিরা প্রত্যেকেই এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
আরএ