বুধবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীর বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, অভিযুক্ত সুমনকে প্রধান আসামি করে ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ মোট ২৮জনকে আসামি করে নিহত নাজমুল হোসেনের বাবা অজিজুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেছেন।
গ্রেপ্তাররা হলেন- রাজশাহীর বাঘা উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নের সুলতান গ্রামের রফিজ উদ্দিনের স্ত্রী রফিজা বেগম, রানা আলীর স্ত্রী রিতা বেগম, উপজেলার লালাপুর রামকৃষ্ণপুরের আবুল কাশেমের ছেলে জিল্লুর রহমান, উপজেলার লালাপুর মনিহারপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন, আমজাদ হোসেনের ছেলে সজিব আহমেদ ও একই গ্রামের রঞ্জিতের ছেলে নজরুল ইসলাম।
ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, মামলার প্রধান আসামি সুমনসহ বাকিদের ধরতে কয়েকদফা অভিযান চালানো হয়েছে। এর মধ্যে মঙ্গলবার রাতে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যাদের পাঁচজনই এজাহারভুক্ত আসামি। তবে প্রধান আসামি সুমনকে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি।
এদিকে, রাজশাহীর বাঘা গড়গড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়্যারম্যান রবিউল ইসলাম রবি বলেন, উপজেলার গড়গড়ি ইউনিয়নে সুলতান গ্রামে ১৫ থেকে ২০ জন যুবকের মোটরসাইকেল আছে। তাদের মধ্যে বেশ কিছু যুবক প্রায় বিভিন্ন সময় স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের যৌনহয়রানি করে বেড়ায়। তাদের একাধিকবার বলা হলেও তারা কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না।
ভাগ্নিকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় মঙ্গলবার নামজুল নামে একব্রক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করে বখাটেরা। এ ঘটনায় প্রথমে ভগ্নিপতি ও ভাগ্নের ওপর হামলা চালায় তারা। তাদের বাঁচাতে এগিয়ে গেলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটনায় বখাটেরা।
এদিকে আহত শাহাজাহান মাস্টারকে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং তারিকুলকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
এসএস/এমএ