পাশাপাশি রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, শান্তি কমিটি এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের সংরক্ষিত নথি পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথ বৈঠক করার সুপারিশ করেছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সপারিশ করা হয়।
কমিটির সভাপতি শাজাহান খানের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম (বীর উত্তম), কাজী ফিরোজ রশীদ এবং ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস ও স্বাধীনতা বিরোধীদের তালিকা সম্পর্কে অভিযোগ বা আপত্তি, রাজধানী সুপার মার্কেটের উন্নয়ন পরিকল্পনা, গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্স ভবন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তসগুলোর আলোকে ডেভেলপারের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। একইসঙ্গে কাকরাইলে অবস্থিত বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জায়গা দখলমুক্ত করার বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
এ বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ ও বরাদ্দ নীতিমালা তৈরির খসড়া সংসদীয় কমিটিতে উপস্থাপন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ব্যবহারকারী বিভিন্ন সংগঠন বা সংস্থাকে পুনরায় যাচাই-বাছাই ছাড়া নতুন করে নিবন্ধন না দেওয়ার জন্যও সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস, শান্তি কমিটি এবং স্বাধীনতা বিরোধীদের বিষয়ে সংরক্ষিত নথি যাচাই-বাছাই করার লক্ষ্যে কখন কোন পরিপ্রেক্ষিতে নথিগুলো তৈরি করা হয়েছে, তা পুনরায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথ বৈঠকও আহবান করা হয়েছে। পাশাপাশি এই তালিকা পাঠানোর জন্য জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে।
এছাড়া বৈঠকে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) শূন্য পদে জরুরিভিত্তিতে জনবল নিয়োগ এবং প্রতিষ্ঠিত ডেভেলপার কোম্পানির মাধ্যমে শেয়ারিং পদ্ধতিতে রাজধানী সুপার মার্কেটের বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়েছে।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বিভিন্ন সংস্থা প্রধান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
এসকে/টিএ