গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শওকত হাসান মিয়া এ্যাসার্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
তার মালিকানাধীন ‘জামালপুর টুইন টাওয়ার-২’ ভাড়া নিয়ে ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষা-কার্যক্রম পরিচালনা করে ইউআইটিএস। এর মধ্যে রাজধানীর ভাটারা এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ সম্পন্ন হলে ২০১৯ সালের মে মাস থেকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাস স্থানান্তর শুরু হয়। একই সঙ্গে উপাচার্যও স্থায়ী ক্যাম্পাসে অফিস শুরু করেন।
গত সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত শওকত হাসান ও তার লোকজন উপাচার্যের কাছে বিভিন্ন সময় চাঁদা দাবি করেন। কখনো তিনি ৬০ কোটি টাকা, আবার কখনো ৪০ কোটি টাকা দাবি করে মালামাল স্থানান্তরে বাধাও দেন।
এ বিষয়ে ২০ নভেম্বর ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, শওকত হাসানসহ তার সহযোগীরা ক্ষুব্ধ হয়ে গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর উপাচার্যের পথ আটকে পুনরায় ৬০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন।
চাঁদা না দিলে ইউআইটিএস-এর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে প্রাণনাশের হুমকি দেন শওকত হাসান। এ সময় পিস্তল উঁচিয়ে হুমকি ও ভয়-ভীতি দেখিয়ে চলে যান তিনি।
এদিকে পুলিশ জানায়, শওকত হাসানের ভবন ভাড়া নিয়ে পিএইচপি গ্রুপ মালিকানাধীন ইউআইটিএস। ২০১০ সালে ভাড়া নেওয়ার সময়ই অগ্রিম ১০ বছরের ভাড়া পরিশোধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু শওকত হোসেন বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন অঙ্কের টাকা দাবি করে আসছিলেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ পিএইচপি কর্তৃপক্ষকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে শওকত হাসানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সুদীপ কুমার চক্রবর্তী জানান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে শওকত হাসানকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
পিএম/এমএ/