তাদের অভিযোগ, অবকাঠামোগত সব ধরনের সুবিধা এমনকি বহুমূল্যবান চিকিৎসা সরঞ্জাম থাকার পরও এ বিশাল চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে জেলার ২৩ লাখ মানুষ সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি বরাবর দেওয়া এক স্মারকলিপিতে এ অভিযোগ করেন।
ইন্টার্ন চিকিৎসক মো. হুমায়ুন কবির ও আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন প্রেসক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ বাপী।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সরকার দেশের স্বাস্থ্যখাতে সেবার মান উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে। এরই মধ্যে সরকার স্পেশাল বিসিএস এর মাধ্যমে কয়েক হাজার চিকিৎসকও নিয়োগ দিয়েছে। অথচ সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
২০১১ সালে প্রতিষ্ঠিত সাতক্ষীরা সরকারি মেডিক্যাল থেকে পরপর তিনটি ব্যাচ শিক্ষা কোর্স শেষ করে গেলেও এখন পর্যন্ত হাসপাতালটি পূর্ণাঙ্গতা না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা অনেক ধরনের প্রাকটিক্যাল শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর প্রভাব পড়তে পারে আগামিতে তাদের পেশাগত জীবনেও। চিকিৎসক হওয়ার পূর্ব শর্ত ক্লিনিক্যাল ক্লাসের যথাযথ সুযোগ ছাড়াই শিক্ষার্থী ও শিক্ষানবিশ ডাক্তাররা কেবল মাত্র পুঁথিগত বিদ্যার ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছেন। ৫০০ শয্যার এই হাসপাতালটির পুরোটাই বলা চলে অকার্যকর অবস্থায় পড়ে রয়েছে। প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার নেই, নেই যথেষ্ট সংখ্যক টেকনিশিয়ানও। জনবল সংকট দূর না করা গেলে হাসপাতাল থেকে যথাযথ সেবা দেওয়া যাচ্ছে না বলেও স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়।
স্মারকলিপিতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সাতক্ষীরা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগ চালু, প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ এবং ১৫ দিনের মধ্যে ৫০০ শয্যার হাসপাতালটিকে পূর্ণাঙ্গতা দেওয়ার জোর দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
আরএ