মৃত কাওসার হোসেনের কঙ্কাল উদ্ধারের পর দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় তদন্তে নেমে তাদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- উজিরপুরের মধ্য কেশবাকাঠী এলাকার মো. আ. ছালাম মৃধা (৬০) ও তার ছেলে মো. রিয়াজ মৃধা (২৫)।
গ্রেফতারের পর বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে তাদের বরিশালের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালতের বিচারক সানা মো. মাহরুফ হোসাইন গ্রেফতার ব্যক্তিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন উজিরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন।
মামলা সূত্রে জানাগেছে, গতবছরের ২৭ জানুয়ারি বিকেলে বাসা থেকে বের হয়ে উজিরপুরের পূর্ব ওটরা এলাকার বাসিন্দা মো. আ. হালিম হাওলাদারের ছেলে কাওসার হোসেন (৩২) নিখোঁজ হন। এরপর দীর্ঘ অনুসন্ধানে তার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পরে একইবছরের ৫ ডিসেম্বর সকালে পূর্ব ওটরাস্থ মান্নান মিয়ার বাগানের শুকনা ডোবা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি জানতে পেরে মো. আ. হালিম হাওলাদার ও তার স্বজনরা ঘটনাস্থলে যান এবং কঙ্কালের শরীরে জড়ানো সাদা রংয়ের জ্যাকেট এবং একটি মানিব্যাগের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয় যে, এটি মৃত কাওসার হোসেনের কঙ্কাল।
পরে ওইদিনই এ ঘটনায় মৃত কাওসারের বাবা মো. আ. হালিম হাওলাদার বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় থানা পুলিশ তদন্তে নেমে ৪০ দিনের মধ্যে একটি ক্লু পায়। যে ক্লু অনুযায়ী গ্রেফতার মো. আ. ছালাম মৃধার মেয়ে খাদিজা বেগম (২৮) ও প্রবাসী ছেলে তুহিন মৃধার সাবেক স্ত্রী শিমু বেগম (২২) এর সঙ্গে মৃত কাওসারের পরকীয়া ছিলো বলে জানতে পারে পুলিশ। পাশাপাশি তুহিম মৃধার মৃত কাওসারের পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরেই তার স্ত্রী শিমু বেগমের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে।
এসব ঘটনার পর গ্রেফতার আসামিসহ তাদের আত্মীয়-স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসা সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, নিখোঁজের আগ মুহূর্তে ওটরা রাস্তার মাথার বাজারে আসামিরা ও তাদের সহযোগীরা মৃত কাওসার হোসেনের সঙ্গে চা পান করে এবং গ্রেফতাররাই রাত বেশি হয়ে যাওয়ার অজুহাতে কাওসারকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার নামে তাদের মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। আর এরপর থেকেই কাওসার নিখোঁজ হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৪১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
এমএস/জেডএস