ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

নাগরপুরে শেখ হাসিনা সেতুতে গর্ত, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
নাগরপুরে শেখ হাসিনা সেতুতে গর্ত, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত ধলেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত শেখ হাসিনা সেতুর উপরিভাগের ঢালাই উঠে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার পাশাপাশি প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন এ সেতু দিয়ে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ। সেতু নির্মাণের দুই বছরের মাথায় এমনভাবে ভেঙে গর্ত হওয়ায় যাত্রী সাধারণের মধ্যে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।

এদিকে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাছ থেকে সেতু বুঝে নেওয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, এ সেতুর কাগজপত্র পাওয়া যায়নি বিধায় প্রয়োজনীয় সংস্কারে বিলম্ব হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাগরপুর-মির্জাপুর সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য নাগরপুর উপজেলার কেদারপুরে ধলেশ্বরী নদীতে ৫২০ দশমিক ৬০ মিটার পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার।

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে ৫৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকায় প্রকল্পের কার্যাদেশ পেয়ে দীর্ঘ আড়াই বছর কর্মযজ্ঞ শেষে ২০১৭ সালের প্রথম দিকে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করে মীর আক্তার হোসেন লিমিটেড নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০১৭ সালের শেষের দিকে জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় সেতুটি। কিন্তু এতো অল্প সময়ের ব্যবধানে সেতুর এমন বেহাল দশায় এর নির্মাণশৈলী নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এ সেতু দিয়ে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ।  

সরেজমিনে সেতুতে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর বিভিন্নস্থানে উপরিভাগের ঢালাইকরা ওয়ারিং কোর্স (পাথর, বালি ও সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করা) ভেঙে স্তূপ হয়ে রয়েছে। এর উপর দিয়ে দ্রুত গতির যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।  

সেতুর উপরিভাগের ঢালাই উঠে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্ত।  ছবি: বাংলানিউজএ সেতু দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী এসবি লিংক পরিবহনের চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, গত বছরের মাঝামাঝি এ সেতুর ঢালাই উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। তখন দায়সারাভাবে জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করা হয়েছিল বলেই আজ আবার সেতুর এ অবস্থা হয়েছে। আমরা গাড়ি নিয়ে সেতুর উপর দিয়ে যেতে আতঙ্কের মধ্যে থাকি।  

শিক্ষক মো. রফিকুজ্জামান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমনিতেই সেতুতে বেশ কয়েকবার মোটরসাইকেল (বাইক) দুর্ঘটনায় দুইজনের প্রাণহানি ঘটেছে। তার ওপর সেতুর বিভিন্নস্থানে গর্ত, তাই দ্রুত সেতুটি সংস্কার না করলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।  

এদিকে সেতুটি স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হলেও গত এক বছর আগে তা সড়ক ও জনপথ বিভাগে হস্তান্তর করা হয়।

টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান ফারহান বাংলানিউজকে জানান, নাগরপুরের কেদারপুরে ধলেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত শেখ হাসিনা সেতুটি গত এক বছর আগে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর আমাদের কাছে হস্তান্তর করলেও এর কাগজপত্র এখনও হাতে পাইনি, তাই এর যথাযথ সংস্কারে দেরি হচ্ছে। কাগজপত্র হাতে পেলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের রিপেয়ারিং (সংস্কার) এর বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আর যেটুকু ক্ষতি হয়েছে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হবে বলেও জানান প্রকৌশলী ইমরান ফারহান।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।