এদিকে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের কাছ থেকে সেতু বুঝে নেওয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্র জানায়, এ সেতুর কাগজপত্র পাওয়া যায়নি বিধায় প্রয়োজনীয় সংস্কারে বিলম্ব হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নাগরপুর-মির্জাপুর সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য নাগরপুর উপজেলার কেদারপুরে ধলেশ্বরী নদীতে ৫২০ দশমিক ৬০ মিটার পিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার।
সরেজমিনে সেতুতে গিয়ে দেখা যায়, সেতুর বিভিন্নস্থানে উপরিভাগের ঢালাইকরা ওয়ারিং কোর্স (পাথর, বালি ও সিমেন্ট দিয়ে ঢালাই করা) ভেঙে স্তূপ হয়ে রয়েছে। এর উপর দিয়ে দ্রুত গতির যানবাহন চলাচলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
এ সেতু দিয়ে নিয়মিত চলাচলকারী এসবি লিংক পরিবহনের চালক সাইফুল ইসলাম বলেন, গত বছরের মাঝামাঝি এ সেতুর ঢালাই উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছিল। তখন দায়সারাভাবে জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করা হয়েছিল বলেই আজ আবার সেতুর এ অবস্থা হয়েছে। আমরা গাড়ি নিয়ে সেতুর উপর দিয়ে যেতে আতঙ্কের মধ্যে থাকি।
শিক্ষক মো. রফিকুজ্জামান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এমনিতেই সেতুতে বেশ কয়েকবার মোটরসাইকেল (বাইক) দুর্ঘটনায় দুইজনের প্রাণহানি ঘটেছে। তার ওপর সেতুর বিভিন্নস্থানে গর্ত, তাই দ্রুত সেতুটি সংস্কার না করলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
এদিকে সেতুটি স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হলেও গত এক বছর আগে তা সড়ক ও জনপথ বিভাগে হস্তান্তর করা হয়।
টাঙ্গাইল সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ইমরান ফারহান বাংলানিউজকে জানান, নাগরপুরের কেদারপুরে ধলেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত শেখ হাসিনা সেতুটি গত এক বছর আগে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর আমাদের কাছে হস্তান্তর করলেও এর কাগজপত্র এখনও হাতে পাইনি, তাই এর যথাযথ সংস্কারে দেরি হচ্ছে। কাগজপত্র হাতে পেলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের রিপেয়ারিং (সংস্কার) এর বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আর যেটুকু ক্ষতি হয়েছে তা দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার করে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হবে বলেও জানান প্রকৌশলী ইমরান ফারহান।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
এসএইচ