বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের এক সম্পুরক প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান মুক্তিযোদ্ধা বিষয়কমন্ত্রী। এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনের সভাপতিত্ব করেন।
প্রশ্ন উপস্থাপনের সময় রফিকুল ইসলাম বলেন, রাজাকের তালিকা প্রশ্নের মধ্যেই ভুল আছে, আমাদের সিদ্ধান্ত ছিল আমরা কোনো তালিকা তৈরি করবো না। আমাদের লক্ষ্য ছিল যারা স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছে তাদের যে তালিকা বিদ্যমান আছে সেই তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সংসদীয় কমিটিতেও সেই সিদ্ধান্ত ছিল। মন্ত্রী বলেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় করেনি, করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এই কথার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কি দিয়েছে সেটা আমরা জানি না, যেহেতু মালিক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাই তারাই তো প্রকাশ করতে পারতো, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী কেন সেটা প্রকাশ করলেন? উনি সঠিক তালিকা প্রকাশ করতে পারেননি, উনি পারবেনও না।
এর পর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, সংসদে আমি এই কথাই বলেছিলাম। আমরা কোনো তালিকা তৈরি করবো না, প্রকাশ করবো। ঘটনাটাও তাই হয়েছে। আমরা যেটা পেয়েছি সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও প্রণয়ন করেনি, তাদের কাছে যা সংরক্ষিত ছিল তাই দিয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে সমস্ত ডকুমেন্ট সংরক্ষিত ছিল এবং সেখান থেকেই যে তালিকা সরবরাহ করা হয়েছে, তাই আমরা প্রকাশ করেছি। তালিকা যাদের নাম আছে তারা শুধু সক্রিয় ছিল কিনা, তা শুধু যাচাই করার ব্যাপার। ওনাদের নাম যে তালিকাতে আছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। সমস্ত ডকুমেন্টারি অ্যাভিডেন্স আছে। আমার যেটা অভিজ্ঞতা হয়েছে, তালিকা করতে তখন মেম্বর-চেয়ারম্যানদের কাছে চাওয়া হয়েছে, কারা কি করবে? তারা সমানে তাদের অজ্ঞাতেই অনেকের নাম দিয়েছে, হয়তো বা। সেজন্যই এ বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। ভবিষতে যাচাই-বাছাই করেই তালিকা প্রকাশ করবো।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের এক সম্পূরক প্রশ্নোত্তরে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, রাজাকারের তলিকায় ভুল-ত্রুটি ছিলো বলেই ওই তালিকা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে ভুল-ত্রুটি না হয় সেই জন্য সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তালিকা যাচাই-বাছাই করা হবে। এর পর প্রকাশ করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২০
এসকে/ওএইচ/