বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রামু-উখিয়ারঘোনা-গর্জনিয়া সড়কে এ মহৎ উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করা হয়।
এতে স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক মেরামতকাজে নেতৃত্ব দেন গর্জনিয়ার পোয়াংগেরখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি তরুণ সাংবাদিক হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী।
গর্জনিয়াবাসীর ভাষ্য, রামু-উখিয়ারঘোনা-গর্জনিয়া সড়কটি দুই ইউনিয়নের মানুষের চলাচলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গর্জনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান তৈয়ব উল্লাহ চৌধুরী সড়কটি চালু করার জন্য দফায় দফায় চেষ্টা করেন। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে তা বাস্তবায়ন হয়নি। এখন স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কটি কোনো রকমে চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে।
তারা আরও বলেন, সড়কটি পুরোদমে চালু হলে গর্জনিয়া থেকে রামুর দূরত্ব কমে আসবে। স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যবসাসহ সব ক্ষেত্রেই লাভবান হবেন। বিষয়টি নিয়ে সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের সুদৃষ্টি আশা করেন তারা।
স্বেচ্ছাশ্রমে সড়ক সংস্কারের উদ্যোক্তা হাফিজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, রামু-উখিয়ারঘোনা-গর্জনিয়া সড়কের অবহেলিত এক কিলোমিটার কাঁচা সড়ক স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করা হয়েছে। এখন গর্জনিয়ার মানুষ এ সড়ক দিয়ে রামু সদরে পৌঁছাবে। তবে সড়কটি এখনো কাঁচা। তাই এটিকে পাকা সড়কে পরিণত করতে আমরা কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
ছাত্রলীগ নেতা ইনজামাম উল হক চৌধুরী বলেন, সড়কটি পুরোদমে চালু হলে গর্জনিয়ার কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমে আসবে।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল জলিল বলেন, সড়কটি চালু না হওয়ায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি হয়ে রামু যেতে হয় গর্জনীয়া-কচ্ছপিয়ার দুই ইউনিয়নের মানুষকে। এতে এক ঘণ্টা বাড়তি সময় এবং অতিরিক্ত যাতায়াত খরচ বইতে হচ্ছে। এটি হয়ে গেলে ভোগান্তি এবং খরচ কমবে।
সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল বলেন, সড়কটি চালুর বিষয়ে খুব সম্ভবত বনবিভাগের একটু আপত্তি ছিল। বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২০
এসবি/ওএইচ/