শুক্রবার ( ১৭ জানুয়ারি) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর আলোকিত প্রজন্মের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান, মাহফুজুর রহমান, নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, মো. তারেকসহ নিহত মিজানের ছোট ভাই আরিফ হোসেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৫ জানুয়ারি মিজান তার কর্মস্থল বনানীর একটি রেস্তোরাঁ থেকে শেওড়াপাড়ার বাসায় ফেরার পথে তাকে অপহরণ করা হয়। পরদিন ভোরে তার মরদেহ পাওয়া যায় হাতিরঝিলে। দুঃখজনক হলেও সত্য এদিন ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনা আলোচনা এলেও মিজান হত্যার ঘটনা আড়ালে পরে যায়।
লক্ষ্মীপুর আলোকিত প্রজন্মের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান বলেন, মিজান খুবই বিনয়ী ছিলেন। তার সঙ্গে কারো কোনো ব্যক্তিগত বিরুদ্ধ ছিল না। আমরা অতি দ্রুত অপরাধীদের গ্রেফতার ও শাস্তি চাই।
নিহত মিজানের ছোট ভাই আরিফ বলেন, ভাইকে হারিয়েছি। আমরা চাই না আর কেউ তার ভাই-বোন বা প্রিয়জনকে এভাবে হারাক।
পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতারের কথা বললেও মামলার বাদী হিসেবে থানায় গেলে আমাদের আসামীদের দেখতে দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন আরিফ।
তিনি বলেন, আমার ভাইয়ের হত্যাকারীকে দ্রুত গ্রেফতার করে খুনিদের দ্রুত বিচার করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, চারদিকে ধর্ষণ, অপহরণ বেড়ে যাওয়ায় সমাজে দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। এখনই দ্রুত সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সামাজিক আন্দোলন হলে পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রে এরকম ঘটনা ঘটতেই থাকবে। তাই চলুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
পিএস/আরআইএস/