শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের উপজেলার চৈতন্যা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতরা সবাই প্রাইভেটকারের যাত্রী।
উজ্জ্বল মিয়া কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর এলাকার মফিজ উদ্দীনের ছেলে। তিনি দুর্ঘটনাকবলিত প্রাইভেটকারের চালক ছিলেন।
আহতরা হলেন- শিবপুরের যোশর ইউনিয়নের শরীফপুর গ্রামের হাসান আলীর ছেলে আবদুল আজিজ (৫০), হযরত আলীর ছেলে সালাউদ্দিন (৫৪) ও তার স্ত্রী সুলতানা বেগম (৪০) এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আলমগীর হোসেনের ছেলে মাশরাফি (২২)। আহতদের সবাই একই পরিবারের সদস্য।
ইটাখোলা হাইওয়ে পুলিশ জানায়, শুক্রবার বিকেলে যাত্রীবাহী প্রাইভেটকারটি চৈতন্যা বাজার এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক পার হচ্ছিল। এ সময় কিশোরগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যাত্রীবাহী যাতায়াত পরিবহনের একটি বাস প্রাইভেটকারটিকে চাপা দেয়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। আহত হন প্রাইভেটকারটির পাঁচজন যাত্রী। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় প্রাইভেটকারটির চালক উজ্জ্বল মিয়া মারা যান।
ইটাখলা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক জায়েদুল হক বাংলানিউজকে বলেন, অসতর্ক অবস্থায় মহাসড়ক পার হতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। ঘাতক বাস ও দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া প্রাইভেটকারটি আটক করা হয়েছে। তবে বাসের চালক ঘটনার পরই পালিয়ে গেছেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
এনটি