শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ভোর হলো ও লিটল থিয়েটারের আয়োজনে অষ্টাদশ বারের মতো দিনব্যাপী এ পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এতে সহযোগিতা করে বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটার, বগুড়া থিয়েটার ও কলেজ থিয়েটার।
বাঙালির খাদ্য সংস্কৃতিতে পিঠা অবিচ্ছেদ্য একটি অংশ। শীতকাল এলেই পিঠা উৎসবে মাতোয়ারা হয় দেশবাসী। শহুরে ব্যস্ততার কারণে পিঠার স্বাদ নিতে নগরবাসীদের কেউ কেউ গ্রামে গিয়ে পিঠা খেয়ে আসতেন। অথবা গ্রাম থেকে শহরে বসবাসকারী প্রিয়জনদের জন্য পিঠা তৈরি করে পাঠাতেন কেউ কেউ। কিন্তু এখন সময় বদলের সঙ্গে সঙ্গে সেই দৃশ্যপটও আমূল বদলে গেছে। এখন গ্রামের মতো শহরেও শীতের সব ধরনের পিঠা পাওয়া যায়।
গ্রামাঞ্চলে শীত নিবারণের জন্য ঘরের কোনে যে আইলা জ্বালানো হয় সেই আইলা প্রজ্জ্বালন করে সকালে দিনব্যাপী পিঠা উৎসবের শুভ উদ্বোধন করেন বগুড়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. মকবুল হোসেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফয়েজ আহাম্মদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপু। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন লিটল থিয়েটারের পরিচালক তৌফিক হাসান ময়না, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সিদ্দিকী, সাংবাদিক প্রদীপ ভট্টাচার্য শঙ্কর, মাটিডালী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাল মিয়া, বগুড়া থিয়েটারের সহ-সভাপতি পলাশ খন্দকার, টিপু সুলতান প্রমুখ।
পিঠা উৎসবে নানা স্বাদের পিঠা নিয়ে পশরা সাজিয়ে বসে বগুড়ার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মাটিডালী উচ্চ বিদ্যালয়, ফয়েজুল্বা উচ্চ বিদ্যালয়, ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ইচ্ছে তুলি আর্ট গ্যালারি, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কালেক্টরেট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ইউনিক পাবলিক স্কুল, এ কে আজাদ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ভান্ডারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, টিএমএসএস দাখিল মাদ্রাসা, মর্নিং বেল স্কুল, ওয়াইএমসিএ পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আকবরিয়া গ্র্যান্ড হোটেল।
পিঠা উৎসবের বিভিন্ন স্টলে ছিল বাহারি স্বাদের পিঠার যেমন- পাটিসাপটা, বউ সোহাগি, দুধ কুশলি, ভাপা, কুশলি, ঝাল কুশলি, আন্দশা, শাহি, মন মোহন, খাস্থা, হেই, মোহনমতি, চিতই নকশি, খেজুর, ক্ষীরপুলি, ডিমপিঠা, পুলি, তিল, বকুল, ফুল, নাট, খোড়মা ইত্যাদি।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০২০
কেইউএ/আরআইএস/