এদের মধ্যে উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের ইদিলপুর গ্রাম থেকে শাওন মিয়া (১২), উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের আলদাদপুর গ্রাম থেকে মিম আক্তার (৫) ও জিহাদ মিয়ার (৭) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
শাওন মিয়া ইদিলপুর গ্রামের সেকেন্দার আলীর ছেলে।
অপরদিকে মিম আক্তার আলদাদপুর গ্রামের নুরুন্নবী মিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় চকগোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং জিহাদ মিয়া একই গ্রামের শিপন
মিয়ার ছেলে ও একই বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। তারা পরস্পর চাচাতো ভাই-বোন।
সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা জানান, মিম ও শিপন শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরদিন রোববার সকালে বাড়ির পাশের একটি জঙ্গলের ভেতরের পুকুর থেকে তাদের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে শাওন তার বাবার চায়ের দোকানে দুই/তিন দিন থেকে কাজ করতে যায়নি। এ কারণে গত শনিবার রাতে তার বাবা তাকে বকাবকি করেন। এতে শাওন অভিমান করে শনিবার গভীর রাতে বাড়িতে রাখা ইঁদুর মারার ট্যাবলেট (বড়ি) খায়। টের পেয়ে ওই রাতেই পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে রোববার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
এসব ঘটনায় থানায় পৃথক দু’টি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
আরএ