ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

ড. আবদুল্লাহ আল-মুতী ও অধ্যাপক জহুরুল হক স্মরণে সভা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
ড. আবদুল্লাহ আল-মুতী ও অধ্যাপক জহুরুল হক স্মরণে সভা

ঢাকা: প্রখ্যাত বিজ্ঞান লেখক ড. আবদুল্লাহ আল-মুতী ও অধ্যাপক ড. আ মু জহুরুল হক স্মরণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল ৪টার দিকে বিজ্ঞান সংস্কৃতি পরিষদের উদ্যোগে বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।

 

খ্যাতিমান এ দুই লেখকের জীবনের নানা বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন অধ্যাপক আলী আসগর, সুব্রত বড়ুয়া, অধ্যাপক এ এন রাশেদা, সৈয়দ জিয়াউল হক, অধ্যাপক ফারসিম মান্নান ও মুনির হাসান।

অনুষ্ঠানের সূচনাপর্বে বিজ্ঞান সংস্কৃতি পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ জিয়াউল হক এ দুই খ্যাতিমান ব্যক্তির জীবনের বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। এছাড়া তিনি বিজ্ঞান সংস্কৃতি পরিষদের শুরু এবং কর্মকাণ্ড সম্পর্কে আলোকপাত করেন।  

অধ্যাপক এ এন রাশেদা ড. আবদুল্লাহ আল-মুতীর সঙ্গে তার কর্মকাণ্ডের নানা স্মৃতি তুলে ধরেন। শিক্ষাবার্তা পত্রিকাটির প্রকাশনায় সরকারি অনুমোদন থেকে শুরু করে নানা দিকে ড. আবদুল্লাহ আল-মুতীর উদার সহায়তা ও উৎসাহ দেওয়ার কথা তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।  

অধ্যাপক ফারসিম মান্নান বলেন, অধ্যাপক ড. আ মু জহুরুল হক ভাষার ব্যবহারে বিশেষ ধারা তৈরি করেছিলেন। এখনকার তরুণ লেখকদের সেটা জানা খুবই প্রয়োজন।  

মুনির হাসান বলেন, তারা দু’জনই বিজ্ঞানের নানা বিষয়কে সাধারণের কাছে তুলে ধরার জন্য প্রচুর লিখেছেন। বাংলাদেশে বিজ্ঞান জনপ্রিয় আন্দোলনের এ দুই পথিকৃৎকে যথাযথভাবে সম্মান জানানোর তেমন কিছু আমরা করতে পারিনি, কিন্তু এটা আমাদের করতে হবে।

অধ্যাপক আলী আসগর বলেন, পাঠ্য তালিকায় বিজ্ঞানের অবনমন রোধের প্রচেষ্টায় ড. আবদুল্লাহ আল-মুতী তাকে সমর্থন যুগিয়ে অভিনন্দিত করেন।  

তিনি বলেন, এসব মহৎ মানুষের জীবনাচরণই তাদের বিশেষ বার্তা। তাই এদের জীবনকে সঠিকভাবে জানা খুব জরুরি। তিনি এ রকম একটি আয়োজনের জন্য বিজ্ঞান সংস্কৃতি পরিষদকে ধন্যবাদ জানান।  

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, ড. আবদুল্লাহ আল-মুতী ছিলেন একজন কর্মবীর। সরকারি পদে অধিষ্ঠিত থেকেও তিনি সবসময় প্রগতিশীল কাজকর্ম সম্পাদন করে গেছেন তার নিজস্ব পদ্ধতিতে। তার শক্তিশালী এবং বুদ্ধিদীপ্ত ব্যক্তিত্বের কারণেই এটি সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে ড. আ মু জহুরুল হক ছিলেন বিজ্ঞানের নিবেদিত প্রাণ একজন লেখক। তার চমৎকার গদ্য এবং ভাষার ব্যবহার বিজ্ঞান লেখায় এক নতুন মাত্রা যুক্ত করেছিল।  

অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন তিতাস। আয়োজনে সহযোগিতা করেছে বাংলা একাডেমি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
পিআর/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।