রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উচ্ছেদ অভিযানে নগরের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের রূপাতলী খলিফাবাড়ি সংলগ্ন কীর্তনখোলার নদীর তীরবর্তী এলাকায় সদ্য মেহগনি গাছ দিয়ে তৈরি করা পাইলিং ভেঙে ফেলা হয়।
স্থানীয়রা জানান, কীর্তনখোলার ওই অংশে নদীর তীরজুড়ে ইট, বালু, পাথরের ডিপো এবং ডকইয়ার্ড গড়ে তুলেছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। তারা বিভিন্ন সময় নদীর জায়গা ভরাট করে ব্যবসার জায়গার পরিধি বাড়ান। সর্বশেষ রাইভিউল কবির স্বপন নামে স্থানীয় প্রভাবশালী এক ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী তীর থেকে নদীর মধ্যে কয়েক ফুট ভেতরে গিয়ে এ পাইলিং এর কাজ শুরু করেন।
তবে রাইভিউল কবির স্বপন সাংবাদিকদের জানান, খলিফাবাড়ি থেকে কাটাদিয়া খাল পর্যন্ত কীর্তনখোলা তীরে তার ১৭ একর রেকর্ডীয় জমি আছে। যেখানে পাইলিং দেওয়া হচ্ছে সেখানের একটি দাগে ৫৯ শতাংশ জমি ছিল। এখন আছে ২৫ শতাংশ। বাকিটা নদীতে ভেঙে গেছে। ভাঙন ঠেকাতেই পাইলিং দিয়ে মাটি ফেলা হচ্ছিলো।
এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান জানান, জেলা প্রশাসক এম এম অজিয়র রহমানের নির্দেশে নদী ও নদীর জায়গা দখলদারদের হাত থেকে রক্ষায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়ে থাকে। যার ধারাবাহিকতায় আজ এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০২০
এমএস/আরএ