রোববার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে গ্রামের বড়বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত চেরাগ আলী বিএডিসি’র অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী ছিলেন।
পুলিশ, প্রতিবেশী ও নিহতের পরিবারের লোকজন জানায়, গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে চেরাগ আলীর ৩ সন্তানের মধ্যে আকবর আলী (৪০) সবার বড়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছেন। রোববার সন্ধ্যার দিকে আকবর আলী বাবা চেরাগ আলীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। সে সময় চেরাগ আলী আকবরকে পাগলা গারদে পাঠানোর কথা বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি বাবা চেরাগ আলী ও মা ফুলমতি বেগমকে বেপরোয়াভাবে কুপিয়ে জখম করেন আকবর। পরে ঘটনাস্থলেই চেরাগ আলী নিহত হন। স্থানীয়রা গুরুতর আহতাবস্থায় ফুলমতিকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহতের মেজ ছেলে এমরান হোসেন জাফরের স্ত্রী হাসিনা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আকবর আলী সবসময় যাকেতাকে ধরে মারধর করতেন। তার ভয়ে আমরা এ বাড়িতে আসতাম না। পাগলাটে স্বভাবের কারণে দুই ছেলে-মেয়ে নিয়ে তার স্ত্রী বাবার বাড়িতে চলে গেছেন।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জোবায়েদ কবির বাহাদুর বাংলানিউজকে বলেন, চেরাগ আলীর বড় ছেলে আকবর আলী পাগল শুনেছি। তবে এ বিষয়ে এখনও সুনিশ্চিত কোন তথ্য পাইনি।
শাহরাস্তি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, খবর পেয়ে আমি তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে যাই। আশপাশের লোকজনের কাছে জানতে পেরেছি আকবর মানসিক ভারসাম্যহীন। তদন্ত হলে এ ব্যাপারে আরও বিস্তারিত তথ্য বেরিয়ে আসবে।
এদিকে এ ঘটনার সংবাদ পেয়ে চাঁদপুর জেলা সদর থেকে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন’র (পিবিআই) একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ০১২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
এইচজে