সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ রাখাইন স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ও চৌফলদন্দীর রাখাইন সম্প্রদায় প্রতিবাদী এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
সভায় রাখাইন নেতারা জানান, কক্সবাজারের চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের উত্তর রাখাইন পাড়া, মধ্যম রাখাইন পাড়া ও দক্ষিণ রাখাইন পাড়ায় বেড়িবাঁধ ঘেঁষে প্রায় চারশ’ বছর ধরে তিনটি রাখাইন পল্লীর শত শত রাখাইন পরিবার বসবাস করে আসছে।
বক্তারা জানান, উন্নয়ন কর্মকাণ্ড যদি একটি জাতিগোষ্ঠীর অস্তিত্ব রক্ষার হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে সেটি দেশের জন্য অকল্যাণ বয়ে আনবে।
বাংলাদেশ রাখাইন স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি ক্যাখিন রাখাইনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি দীপংকর বড়ুয়া পিন্টু, কক্সবাজার সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন, আদিবাসী ফোরাম কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক মংথেনহলা রাখাইন, রাখাইন নেতা মংওয়ান রাখাইন, ক্যায়াইন রাখাইন, ক্যাছেন ওয়ান রাখাইন, ক্যাছেন মিন প্রমুখ বক্তব্য দেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে কেঁচো মিন রাখাইন এবং অং সেন লাইন বলেন, বেড়িবাঁধের দক্ষিণ-পশ্চিমাংশের কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের মালিকানাধীন সরকারি পরিত্যক্ত জমি রয়েছে। ওই জমিতে ডাইক নির্মাণ করলে রাখাইন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বিলুপ্ত হওয়া থেকে রক্ষা পাবে।
রাখাইন নেতা ও আদিবাসী ফোরাম কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক মংথেনহলা রাখাইন বলেন, কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী ইউনিয়নে প্রায় চারশ’ বছরেরও বেশি সময় ধরে শত শত রাখাইন পরিবার বেড়িবাঁধ ঘেঁষে বসবাস করে আসছে। সরকারের এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হলে এ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সেখান থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। তাই বিকল্প কোনো স্থানে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।
পরে একই দাবিতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেন রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
এসবি/এফএম