স্থানীয়রা জানান, কাউকে কিছু না জানিয়েই স্রোতের কারণে খালের দু’ পাশ ভেঙে যাওয়ার অজুহাতে উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ ভাড়ানি খালের সুন্দরকাঠি বাজারসংলগ্ন স্থানে স্থায়ীভাবে দু’দিক দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ইন্ধনে করা এ বাঁধের কারণে গত একমাস চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নলুয়া, ফরিদপুর ও দুধল ইউনিয়নের ব্যবসায়ীরা।
তাদের দাবি কলসকাঠী, কালীগঞ্জ, বোয়ালীয়াসহ কয়েকটি হাট-বাজারে যেতে তারা দীর্ঘদিন থেকে ভাড়ানি খাল ব্যবহার করে আসছিলেন। গত একমাস ধরে খালে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করায় বর্তমানে তাদের কয়েক কিলোমিটার ঘুরে বিকল্প পথে ওইসব বাজারে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে।
ওই খালের সুবিধাভোগী ফরিদপুর ইউনিয়নের ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিনের সরকারি এ খালের মধ্যে স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি অবৈধভাবে বাঁধ নির্মাণ করে পুরো খাল বন্ধ করে দিয়েছেন।
দুধল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলাম মোর্শেদ খান উজ্জল জানান, খালে বাঁধ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটা আইনসম্মত নয়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তরিকুল ইসলাম বলেন, প্রবাহমান কোনো খালে বাঁধ বা ভরাট করা যাবে না। খালে বাঁধ দেওয়ার বিষয়টি জানার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। নির্দেশনা পেলে খালের প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে দ্রুত খালের মধ্যে নির্মিত বাঁধ অপসারণ করা হবে।
তবে খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
এমএস/এফএম