রোববার (১৯ জানুয়ারি) দিনগত রাতে ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম (৬৭) আদিতমারী থানায় এ জিডি করেন। তিনি উপজেলার দুর্গাপুর এলাকার বাসিন্দা।
অভিযুক্ত সালেকুজ্জামান প্রামাণিক আদিতমারী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।
অভিযোগে থেকে জানা গেছে, উপজেলার দুর্গাপুর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম ও তার ভাগ্নে বিএনপি কর্মী আসাদের মধ্যে পৈত্রিক জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বোনের অংশ তার বসতভিটার পাশে ভাগ্নে আসাদকে বুঝিয়ে দেন। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান সালেকুজ্জামান প্রামাণিক কাশেমের বসতভিটার জমি বুঝে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। এতে মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম রাজি না হওয়ায় চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হন।
এর জেরে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারী) বিকেলে চেয়ারম্যান সালেকুজ্জামান প্রামাণিক দলবল নিয়ে মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে পরিবারের সামনে লাঞ্ছিত করেন। তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এলে চেয়ারম্যান সবার সামনেই দ্রুত বসতভিটা খালি করে জমি বুঝিয়ে দিতে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। সেইসঙ্গে নির্দেশ অমান্য করলে মুক্তিযোদ্ধাকে সপরিবারে হত্যা করে জমি দখলের হুমকি দেন। এতে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম রোববার রাতে বিএনপি নেতা ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদিতমারী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম বাংলানিউজকে বলেন, পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বোনের অংশ বসতভিটার এক পাশে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিএনপি নেতা তার কর্মীর জন্য আমাকে বসতভিটা হারানোসহ হত্যার হুমকি দিয়েছেন। এ ব্যাপারে তিনি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান সালেকুজ্জামান প্রামাণিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে এ অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, লোকজন নিয়ে আমি তার বাড়িতে গিয়েছিলাম কিন্তু হত্যার হুমকি দেইনি।
আদিতমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধাকে হুমকির অভিযোগে থানায় জিডি করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
এমআরএ/আরএ