সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুপুরে কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম।
গ্রেফতার হওয়া ডাকাতরা হলেন, কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার দিশাবন্দ গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীরের ছেলে জহির হোসেন (২৪), শহীদুল ইসলামের ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৫) একই গ্রামের ডাকাত বুলেট (২৮), উত্তর রামপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে কামরুল হাসান সবুজ (২৬), আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে ফেরদৌস হোসেন (২৮), মৃত মাহতাব হোসেনের ছেলে কামাল হোসেন (৪৫), চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মিয়াবাজারের সুয়ারখিল গ্রামের ফারুক আহম্মদের ছেলে ফাহিম আহম্মদ (২২), চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার রামপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে সুমন হাসান (২৮), কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার মোস্তাপুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে নেয়ামত উল্লাহ (২৫), শ্রীমন্তপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে জুয়েল ওরফে আকাশ (২০) এবং উত্তর রামপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫)।
পুলিশ সুপার জানান, রোববার (১৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাড়কের জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাবুর্চি বাজার এলাকায় শাহিন আলম নামে এক ব্যক্তি চট্টগ্রাম যাওয়ার উদ্দেশ্যে মহাসড়কে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলো। এ সময় মোটরসাইকেল যোগে ডাকাত চক্রের ৩ সদস্য ওই ব্যক্তির ওপর হামলা চালায় ও গলায় ধারালো অস্ত্র ধরে সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় ওই ব্যক্তির চিৎকারে প্রথমে স্থানীয়রা ও পরে সড়কের টহলরত হাইওয়ে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে তিনজন ডাকাতকে আটক করে। পরে খবর পেয়ে তাদের উদ্ধারে মাইক্রোবাস যোগে আরও আটজন ডাকাত পুলিশের উপর আক্রমণ চালানোর চেষ্টা করলে পরে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের একাধিক টিম একজন নারীসহ ওই আটজন ডাকাতকে গ্রেফতার করে। এ সময় ডাকাতদের ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস, একটি মোটরসাইকেল ও বিপুল পরিমাণে দেশীয় অস্ত্র, টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, এ বিষয়ে দ্রুত বিচার আইনসহ একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
এএটি