সোমবার (২০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য এবাদুল করিমের এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
নসরুল হামিদ বলেন, দেশে বর্তমানে চলতি বছর ১ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ১০.৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মজুদ রয়েছে। দেশে বিদ্যমান গ্যাসক্ষেত্রগুলো থেকে বর্তমানে দৈনিক ২.৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে। এই হারে গ্যাস উৎপাদন অব্যাহত থাকলে উক্ত মজুদ (১০.৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট) গ্যাস ১১ বছর ব্যবহার করা সম্ভব হবে।
‘গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্য স্থানে গ্যাসকূপ খননের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। গৃহীত পরিকল্পনা অনুযায়ী বাপেক্স ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল নাগাদ দু’টি অনুসন্ধান কূপ ও ২০২২ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত ১৩টি অনুসন্ধান কূপ এবং ২০৩১ সাল থেকে ২০৪১ সাল নাগাদ ২০টি অনুসন্ধান কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর শ্রীকাইল ইস্ট#১ অনুসন্ধান কূপ খননের কার্যক্রম চলমান। এছাড়া সিলেট জেলার কালিগঞ্জ #১ এবং ভোলা জেলায় দু’টি অনুসন্ধান কূপ খনন কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। ’
প্রতিমন্ত্রী আরও জানান, পেট্রোবাংলার সঙ্গে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানির সম্পাদিত উৎপাদন বণ্টন চুক্তির (পিএসসি) আওতায় অগভীর সমুদ্রের ব্লক এসএস-৪, ব্লক এসএস-৯, ব্লক এসএস-১১ এবং গভীর সমুদ্র অঞ্চলের ব্লক ডিএস-১২ এ নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের কার্যক্রম চলমান। চলতি জানুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে অগভীর সমুদ্রের ব্লকে একটি অনুসন্ধান কূপ খনন শুরু হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০২০
এসকে/এএ